দেশে প্রতিবছর যক্ষ্মায় লাখে ৪৫ জন মারা যায়


প্রকাশিত: ০৮:৩৯ পিএম, ২৫ নভেম্বর ২০১৫

দেশে প্রতিবছর যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়ে প্রতি লাখে ৪৫ জন লোক মারা যায়। বছরে প্রতি লাখে ৪১১ জন যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হয়, তন্মধ্যে নতুন করে আক্রান্ত হয় ২২৫ জন। নতুন রোগীদের মধ্যে এমডিআর রোগীর সংখ্যা শতকরা এক দশমিক চার ভাগ। সবচেয়ে উদ্বেগের ব্যাপার হলো পূর্বে চিকিৎসাপ্রাপ্ত রোগীদের মধ্যে শতকরা ২৮ দশমিক তিন ভাগ নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছে। নিয়মিত ও নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত চিকিৎসা না নেয়ায় এমডিআর (মাল্টি ড্রাগ রেজিস্ট্যান্স) রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

বুধবার শেরপুরে বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি (নাটাব) আয়োজিত যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার মূলপ্রবন্ধে এমন তথ্য তুলে ধরে বলা হয়, যক্ষ্মা একটি ঘাতকব্যাধি হলেও চিকিৎসায় যক্ষ্মা সম্পূর্ণ ভালো হয়। দেশে বিনামূল্যে কফ পরীক্ষা ও যক্ষ্মার চিকিৎসা হয়ে থাকে। সকল উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র, নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র, বক্ষব্যাধি ক্লিনিক, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং নির্দিষ্ট এনজিও ক্লিনিকে যক্ষ্মা চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে। এজন্য প্রয়োজন সামাজিক সচেতনতা।

শহরের নিউমার্কেট আইডিইবি সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় মূলপ্রবন্ধ পাঠ করেন নাটাব জেলা সমন্বয়কারী মো. কামরুজ্জামান। এতে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সেলিম মিয়া প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। নাটাব জেলা কমিটির সভাপতি মো. হারুনুর রশিদ দুদুর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে প্রেসক্লাব সম্পাদক সাবিহা জামান শাপলা, টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরাম সম্পাদক আদিল মাহমুদ উজ্জল, সাংবাদিক আব্দুল রহিম বাদল, সঞ্জিব চন্দ বিল্টু, নাটাব জেলা সেক্রেটারি আসাদুজ্জামান মুরাদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

শেরপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সেলিম মিয়া সভায় জানান, তিন সপ্তাহের বেশি সময়ের কাশি যক্ষ্মার প্রধান লক্ষণ। যক্ষ্মা রোগীর কফ, হাঁচি, কাশির মাধ্যমে এর জীবাণু বাতাসে মিশে শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে সুস্থ ব্যক্তির ফুসফুসে প্রবেশ করে আক্রান্ত করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, এটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ হলেও নিয়মিত ও ছয় মাস মেয়াদের পূর্ণ চিকিৎসায় সম্পুর্ণ ভালো হয়। কিন্ত অনেক সময় সামাজিক কুসংস্কার, অজ্ঞতা, অবহেলা, অর্থনৈতিক সংকট ও সঠিক তথ্যের অভাবে রোগী চিকিৎসা নিলেও নিয়মিত ওষুধ সেবন এবং পূর্ণ মেয়াদে চিকিৎসা গ্রহণ না করায় এমডিআর যক্ষ্মা হয়ে থাকে।

এসব এমডিআর রোগী যক্ষ্মার জীবাণুবাহক হিসেবে কাজ করে। শেরপুর জেলায় বর্তমানে ১২ জন এমডিআর যক্ষ্মা রোগী রয়েছে। রোগীকে স্বাস্থ্য বিভাগের তত্ত্বাবধানে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এজন্য তিনি জনগণকে যক্ষ্মা রোগ সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে সাংবাদিকদের সহায়তা কামনা করেন।

হাকিম বাবুল/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।