শিশু কিডনি রোগী ৫০ হাজার, চিকিৎসা পাচ্ছে ১০ শতাংশেরও কম

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৫:৫০ পিএম, ১১ মার্চ ২০২১

দেশে প্রায় ৫০ হাজার শিশু দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগে ভুগছে। এদের মধ্যে মাত্র ১০ ভাগ পরিপূর্ণ বা আংশিক চিকিৎসা গ্রহণ করছে। কিডনি প্রতিস্থাপন করেছে মাত্র ১১ জন। গত ১০ বছরে সারাদেশে মোট ২১৫ জন শিশু হিমোডায়ালাইসিস, ২৬ জন শিশু দীর্ঘমেয়াদি পেরিটোনিয়াল ডায়ালাইসিস সেবা নিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্যে বিএসএমএমইউয়ের শিশু কিডনি বিভাগের অধ্যাপক ও পেডিয়াট্রিক নেফ্রোলজি সোসাইটি অফ বাংলাদেশ (পিএনএসবি) -এর মহাসচিব অধ্যাপক ডা. আফরোজা বেগম এসব তথ্য জানান।

এ বছর বিশ্ব কিডনি দিবসের প্রতিপাদ্য ‘কিডনি রোগেও স্বাভাবিক জীবন’।

লিখিত বক্তব্যে ডা. আফরোজা বেগম জানান, যারা ডায়ালাইসিস সেবা নিচ্ছে তাদের বেশিরভাগই অনিয়মিত ও শেষ পর্যন্ত তারা চিকিৎসা থেকে ঝরে যাচ্ছে। অনেকে শেষ পর্যন্ত অকালে মৃত্যুবরণ করছে। একটি শিশু কিডনি প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে নবজীবন লাভ করতে পারে। কিন্তু কিডনি প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ অভিভাবক আগ্রহী নন। যদিও কিডনি প্রতিস্থাপনে দাতা ও গ্রহীতার কোনো সমস্যা হয় না। কিডনী প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে একটি শিশু ২০ থেকে ৩০ বছর বা আরো বেশি সময় স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে এবং দুই-তিনটি কিডনি প্রতিস্থাপনে প্রায় স্বাভাবিক দীর্ঘজীবন লাভ করা সম্ভব। এর খরচ এবং প্রযুক্তিও এদেশের মানুষের হাতের নাগালে।

তিনি আরও বলেন, সমাজের প্রচলিত ধারণা হলো, কিডনি রোগের কোনো চিকিৎসা নেই। শিশুদের বেলায় এ ধারণা আরও প্রকট। ফলে এক বিরাট জনগোষ্ঠী বিনা চিকিৎসা বা অপচিকিৎসার সম্মুখীন হচ্ছে, তেমনি সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে বোঝা বলে গণ্য হচ্ছে।

করণীয় সম্পর্কে তিনি বলেন, দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগের চিকিৎসা ব্যয়বহুল হওয়ায় নিম্ন বা মধ্য আয়ের দেশের শতকরা ৯৫ জন রোগী চিকিৎসা নিতে অপারগ। তাই কিডনি রোগীদের ঘরে ঘরে সামাজিক অবস্থানে, ভালভাবে বেঁচে থাকার জন্য কিছু ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। যেমন : কিডনি রোগ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি, অমূলক ভীতি, হতাশা ও অবহেলা পরিহার করে কিডনি রোগ বিষয়ে বাস্তব শিক্ষা প্রদান, সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা ও ভর্তুকি প্রদান, জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশি-বিদেশি এনজিও, মিডিয়া ও সংবাদমাধ্যম ভূমিকা পালন করতে পারে।

এমইউ/এমএইচআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।