আলোচনায় নেই স্বাচিপের মহাসচিব পদ


প্রকাশিত: ১১:২৭ এএম, ০৭ নভেম্বর ২০১৫

স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) মহাসচিবের পদটি সাংগঠনিকভাবে অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ। অথচ সভাপতি পদে দুই হেভিওয়েট প্রার্থী ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও ডা. এম ইকবাল আর্সলানের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণার প্রেক্ষিতে  মহাসচিব পদটি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নেই। কেননা এখন সর্বত্রই সভাপতি পদটিকে ঘিরেই আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় বইছে।

বিভিন্ন পর্যায়ের স্বাচিপ নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় যাবত স্বাচিপের সম্মেলন ও নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়ায় অপেক্ষাকৃত সিনিয়রদের পাশাপাশি বহু জুনিয়র চিকিৎসকও এখন মহাসচিব পদটি পেতে নির্বাচন করতে ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। তাদের কেউ কেউ গত একমাসেরও বেশি সময় যাবত ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়াসহ ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করে মহাসচিব পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন। কোনো কোনো প্রভাবশালী চিকিৎসক নেতা এখন নতুন করে ঘোষণা দিচ্ছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বাচিপের মহাসচিব পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে এক ডজনেরও বেশি স্বাচিপ নেতা আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে শেষ পর্যন্ত কয়জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তা এখনই স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। মহাসচিব পদে ভোট প্রদানের ক্ষেত্রে সাধারণ ভোটাররা পেশাদার, সৎ, উচ্চ ডিগ্রিধারী কাউকে বেছে নিবেন। গুরত্বপূর্ণ এ পদটিতে নির্বাচন হলে সিনিয়রদের মধ্য থেকেই কেউ জয়ী হবেন বলে ধারণা করছেন নেতাকর্মীরা।

মহাসচিব পদে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন- বিএমএ’র সাবেক মহাসচিব ও বর্তমানে ব্ঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, বিএমএ’র যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক ডা. মো. আবদুল আজিজ, বিএমএ’র কোষাধ্যক্ষ ও বর্তমানে এসেনশিয়াল ড্রাগ কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক ডা. এহসানুল হক জগলুল, স্বাচিপের যুগ্ম মহাসচিব ডা. জামালউদ্দিন চৌধুরী, বিএমএ’র সিলেট জেলার সহ-সভাপতি ও বর্তমানে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন) এহতেশামুল হক চৌধুরী, বিএমএ’র সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমানে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া, স্বাচিপের বিএসএমএমইউ’র সভাপতি অধ্যাপক ডা. জাকারিয়া স্বপন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. আবু ইউসুফ ফকির, বিএমএ’র খুলনা বিভাগের সহ-সভাপতি ডা. এস কে বাহারুল আলম, বিএমএ’র কার্যনির্বাহী সদস্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম, বিএমএ’র আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. আবুল হাশেম খান, বিএমএ’র বিজ্ঞান সম্পাদক অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান মিলন, মিটফোর্ড হাসপাতালের ইএনটি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মনিলাল আইচ লিটু ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ স্বাচিপ সভাপতি অধ্যাপক দেবেশ চন্দ্র তালুকদার ও অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত প্রমুখ।

স্বাচিপের মহাসচিব পদে নির্বাচনে অনেকের নাম শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে বৈতরণী পাড়ি দিতে সাংগঠনিক দক্ষতাই প্রধান বিবেচ্য বিষয় হবে। যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তাদের অনেকেই সিনিয়র ও মহাসচিব পদের জন্য যোগ্য হলেও ভোটারদের সঙ্গেই অনেকের সরাসরি যোগাযোগই নেই। তাদের কারও কারও সাংগঠনিক দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকায় তারা ভাল অবস্থানে রয়েছেন। চলতি বছর স্বাচিপের ভোটার সংখ্যা ১৩ হাজারেরও বেশি। মহাসচিব পদপ্রার্থীদের মধ্যে অনেকেই সৎ, যোগ্য ও উচ্চ ডিগ্রিধারী হলেও সাংগঠনিক দক্ষতা না থাকায় তারা পিছিয়ে পড়বেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে সকলেই দাবি ও আশা প্রকাশ করে বলেছেন, নির্বাচন হলে তারা বিজয়ী হবেন।

এমইউ/একে/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।