মেরুদণ্ডে আঘাতপ্রাপ্তদের চিকিৎসায় স্টেমসেল থেরাপি

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৬:৩৫ পিএম, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২০

কমপ্লিট স্পাইনাল কর্ড (মেরুদণ্ডজনিত) সংক্রান্ত সমস্যায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবায় আশার আলো দেখাচ্ছে স্টেমসেল থেরাপি। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত এক গবেষণায় দেখা গেছে, স্টেমসেল থেরাপি প্রয়োগ করে ৩২ জন রোগীর মধ্যে ৩১ জনেরই কমবেশি উন্নতি হয়েছে।

সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নিউরোসার্জারি বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত এক সেমিনারে এ কথা বলা হয়। ইন্টারন্যাশনাল স্পাইনাল কর্ড ইনজুরি দিবস (আন্তর্জাতিক মেরুদণ্ডে সমস্যাজনিত দিবস) উপলক্ষে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

নিউরোসার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ টি এম মোশারেফ হোসেনের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন- নিউরোসার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সুকৃতি দাস।

সেমিনারে অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক, মেডিকেল অফিসার, রেসিডেন্ট চিকিৎসকবৃন্দ অংশ নিয়ে তাদের মতামত দেন ও এ সংক্রান্ত জ্ঞানের আদান-প্রদান করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন চিকিৎসাসেবা, চিকিৎসাশিক্ষা ও গবেষণাকে এগিয়ে নিতে সব ধরনের সহায়তা করে যাচ্ছে। কোনো কোনো সময় মেরুরজ্জুর সামান্য আঘাতও বড় বিপর্যয় ডেকে আনে। একজন মানুষ অচল হয়ে যায়, প্রতিবন্ধী হয়ে যায়, কর্মক্ষমতা হারিয়ে সমাজ ও পরিবারের বোঝা হয়ে দাঁড়ায়।

তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা, অল্পপানিতে ঝাঁপ দেয়াসহ যে সকল কারণে মানুষ স্পাইনাল কর্ড ইনজুরির শিকার হয়ে থাকে সে বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। কারণ স্পাইনাল কর্ড ইনজুরির ক্ষেত্রে প্রতিরোধই প্রতিকার ও মুক্তির সর্বোত্তম পদ্ধতি। স্পাইনাল কর্ড ইনজুরির চিকিৎসায় স্টেমসেল থেরাপিসহ আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত সকল ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি ও গবেষণায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা প্রদান করা হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

এমইউ/এফআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।