বিএমডিসির নির্বাচন ১২ ডিসেম্বর
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) এর নির্বাচন আগামী ১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. আবু শফি আহমেদ আমিনের সভাপতিত্বে বিএমডিসি ভবনে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় কমিটির এক বৈঠকে সর্বসন্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বিএমডিসির রেজিস্ট্রার ডা.জাহেদুল হক বসুনিয়া বিকেলে এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ১২ ডিসেম্বর নির্বাচনের দিন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদনকৃত ৬৬ সদস্যের মধ্যে থেকে সভাপতি, সহ-সভাপতিসহ গুরত্বপূর্ণ পদ ও বিভিন্ন কমিটির সদস্য নির্বাচিত হবেন।
উল্লেখ্য প্রায় দেড় বছর আগেই বিএমডিসির বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হয়। এছাড়া ২০১৪ সালের মে মাসে কমিটির সর্বশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএমডিসির একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, নির্বাচনের দিন ৬৬ সদস্যের মধ্যে থেকে একজন (যিনি কোন পদে নির্বাচন করবেন না) রির্টানিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
তারা জানান, সাধারণত সদস্যদের মধ্যে থেকে সভাপতি, সহ-সভাপতি পদে কারও নাম প্রস্তাব করলে অন্য কেউ ভেটো না দিলে এবং সবাই প্রস্তাব করলে তা পাস হয়ে যায়।
সভাপতি ও সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়ে গেলে পরে অন্যান্য কমিটি গঠিত হয়। মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যেই বিএমডিসির নির্বাচন সম্পন্ন হয়।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত কয়েকমাস যাবৎ বিএমডিসির নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। ইতোমধ্যেই ৬৬ সদস্যের নাম চূড়ান্ত অনুমোদন প্রদান শেষে তা গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
সদস্যের নামের তালিকায় সরকারি, বেসকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মনোনীত বিভাগীয়, বার কাউন্সিল, মহিলা সাংসদ, আর্মি মেডিকেল সার্ভিসেস, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ), বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল প্রাকটিশনার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএমপিএ) ও স্বাস্থ্য অধিদফতর মনোনীত প্রতিনিধিরা রয়েছেন।
দেশের সামগ্রিক চিকিৎসা শিক্ষার মানোন্নয়ন ও চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন দেয়ার এখতিয়ারসহ গুরত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে বিএমডিসি। বিএমডিসির কার্যক্রমের মধ্যে এমবিবিএস ও বিডিএস-এর কোর্স কারিকুলাম প্রণয়ন, পাসকৃত চিকিৎসকদের সাময়িক ও স্থায়ী প্রদান, চিকিৎসকদের নীতি-নৈতিকতা ইত্যাদি দেখভাল করে।
মেয়াদোত্তীর্ণ বিএমডিসির কার্যনির্বাহী ৮ সদস্যের কমিটিতে সভাপতি, সহ-সভাপতি ও কোষাধ্যক্ষসহ পাঁচজন সদস্য রয়েছেন। বর্তমানে সভাপতি অধ্যাপক ডা. আবু শফি আহমেদ আমিন, সহ-সভাপতি হিসেবে বিএমএ ও স্বাচিপ নেতা অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান, কোষাধক্ষ্য ডা. রোকেয়া সুলতানা ও সদস্যপদে ডা. বদিউজ্জামান ভূঁইয়া, অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া, অধ্যাপক ডা. এবিএম মাকসুদুল আলম ও অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক রয়েছেন।
৬৬ সদস্যের কেন্দ্রীয় কার্যনিবার্হী কমিটিতে অন্যান্যরা স্থায়ী স্বীকৃতি প্রদান কমিটি, শৃঙ্খলা কমিটি, জার্নাল কমিটি ও ভবিষ্যত সঞ্চয় তহবিল পরিচালনা কমিটিতে রয়েছেন।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, ৬৬ সদস্যের কমিটিতে স্থান পেলেও বর্তমানে কার্যনির্বাহী কমিটিতে স্থান পেতে জোর লবিং চলছে। সামনে স্বাচিপের সম্মেলন। সম্মেলনে যে সব শীর্ষ স্বাচিপ নেতার ঠাঁই হবে না তাদের মধ্য থেকে কার্যনিবার্হীর সভাপতি, সহ-সভাপতি, কোষাধ্যক্ষ ও সাধারণ সদস্য মনোনীত ও নির্বাচিত হবেন।
এমইউ/এসকেডি/আরআইপি
