হাসপাতালগুলোর অফিস সূচি বাস্তবসম্মত নয়


প্রকাশিত: ১২:৫৯ পিএম, ২৮ অক্টোবর ২০১৫

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যলয়ের  (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান বলেছেন, হাসপাতালগুলোতে অফিস সময়সসূচি বাস্তবসম্মত নয়। বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে (ডিআরইউ) গোলটেবিল আলোচনায় স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রতিবেদকদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বর্তমানে সকাল ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা ডিউটির সময়সীমার মধ্যে হাসপাতালে আগত সব রোগীর সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। হাসপাতালগুলো সকাল ৮ কিংবা ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ডিউটি সময় হওয়া উচিত। বাংলাদেশ ছাড়া বিশ্বের আর কোথাও এমন অফিস সূচি নেই।

তিনি আরো বলেন, স্বাস্থ্য সেক্টরে আধুনিক সুচিকিৎসার সুযোগ করে দেয়ায় বর্তমান সরকারের জনপ্রিয়তা বহুগুণ বেড়েছে। ফলে হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ বাড়ছেই।তাই অফিসের সময়সূচি নিয়ে নতুন করে ভাবনার সময় এসেছে।

তবে এটা ভিসি হিসেবে বক্তব্য নয়, এটি তার একান্ত ব্যক্তিগত মতামত বলে জানান তিনি।

স্বাস্থ্যখাতে প্রয়োজনীয় দক্ষ জনবলের ঘাটতি রয়েছে স্বাস্থ্যসচিবের এমন বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে তিনি বলেন, সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার ঘাটতিই সব চেয়ে বড় সমস্যা। একজন চিকিৎসক বিসিএস পাস করে চাকরি গ্রহণের সময় জানেন যে, তার পদায়ন দেশের যেকোনো প্রান্তে হতে পারে। পদায়ন পাওয়ার পর বিনা কারণে কর্মস্থলে অনুপস্থিতি মোটেই কাম্য নয়। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক যার অধীনে থাকেন তার কাছে জবাবদিহিতা চাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।

প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী সংবাদকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে একজন প্রতিবেদককে ঘটনার গভীরে গিয়ে সঠিক তথ্য জেনে প্রতিবেদন তৈরি করা উচিত। চিকিৎসকদের সঙ্গে সাংবাদিকদের পারস্পরিক সুসম্পর্ক থাকা উচিত।

বিএসএমএমইউ সম্পর্কে তিনি বলেন, রোগীর চাহিদা অনুযায়ী কাঙ্ক্ষিত সেবা দেয়া অনেক সময় দুরুহ হয়ে পড়ে। আউটডোরে প্রতিদিন গড়ে চার থেকে পাঁচ হাজার রোগী আসে। এক্ষেত্রে এক হাজার রোগী থাকলে যেরকম সেবা দেয়া যেতো তবে বিদেশের মতো এখানেও ভাল সার্ভিস দেয়া সম্ভব হতো।

এমইউ/এসএইচএস/এএইচ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।