তফসিল ঘোষণা না হলেও জমে উঠেছে স্বাচিপের নির্বাচনী প্রচারণা


প্রকাশিত: ১২:৪২ পিএম, ২২ অক্টোবর ২০১৫

নির্বাচনী তফসিল এখন পর্যন্ত ঘোষণা না হলেও জমে উঠেছে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এর নির্বাচনী প্রচারণা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে, মোবাইলে ক্ষুদেবার্তা প্রেরণ, টেলিফোন ও ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমে প্রার্থীদের পক্ষে জোর প্রচার-প্রচারণা চলছে।

প্রধানত শীর্ষ দুটি পদ সভাপতি ও মহাসচিব কেন্দ্রিক প্রচারণাই চলছে বেশি। তবে তফসিল ঘোষণা না হওয়ায় প্রার্থীরা প্রকাশ্যে নামছেন না। সম্ভাব্য সভাপতি ও মহাসচিবের পক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অতীত অবদান তুলে ধরে গুণগান গাইছেন নেতা-কর্মীরা।

স্বাচিপের গঠনতন্ত্র অনুসারে আসন্ন ১৩ নভেম্বরের সম্মেলনের দিন নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে। ডা. সি এম দেলওয়ার রানাকে চেয়ারম্যান ও ডা. মোসাদ্দেক আহমেদকে সদস্যসচিব করে গঠিত কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- ডা. এম শফিকুর রহমান, ডা. সেলিম আহমেদ ও ডা. ইসমাইল হোসেন।

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার সদস্যসচিব ডা. মোসাদ্দেক আহমেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, স্বাচিপের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি অনুমোদিত সদস্য তালিকা এখনো হাতে  পাননি। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সদস্য তালিকা হাতে পেলে তারা অনতিবিলম্বে বিভিন্ন পদে নমিনেশন ফরম বিক্রি, যাচাই-বাছাই,প্রত্যাহার ও চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ শেষে নির্বাচন কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন। তাদের হাতে এখনো পর্যাপ্ত সময় রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

আসন্ন স্বাচিপের নির্বাচন নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে এখনও ধোঁয়াশা কাটেনি। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচনের মাধ্যমে নেতৃত্ব বাছাই বাধ্যতামূলক হলেও নেপথ্যে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা কাউকে পছন্দ করে প্রার্থী দেন কিনা সেদিকে সকলেই তাকিয়ে আছেন। প্রধানমন্ত্রী ডেকে পছন্দসই প্রার্থীর কথা বলে দিলে সেক্ষেত্রে নিয়মরক্ষার নির্বাচন হবে। কিন্তু তিনি যদি বলে না দেন তবে দৃশ্যপট হবে অন্যরকম।

এবারের নির্বাচনে সভাপতি ও মহাসচিব পদে নবীন-প্রবীণ প্রার্থীর ছড়াছড়ি। পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান নির্বাচন হলে সভাপতি হিসেবে নির্বাচনে যে কারও সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে প্রস্তুুত বলে ঘোষণা দিলেও অন্য কেউ সেভাবে ঘোষণা দিচ্ছেন না। ইকবাল আর্সলানের পক্ষে তার অনুসারীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে গুণগান গেয়ে বিভিন্ন ধরনের স্ট্যাটাস দিচ্ছেন।

সভাপতি পদে অন্যান্যের মধ্যে বিএমএর একাধিকবারের সাবেক মহাসচিব ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, বিএমএর ঢাকা মহানগরীর সহ-সভাপতি অধ্যাপক ডা. আবদুর রউফ সর্দার, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া, বিএসএমএমইউ’র সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়ার নাম শোনা গেলেও তারা কেউ প্রকাশ্যে এখনো ঘোষণা দেননি।

সম্মেলনের দিনক্ষণ যতই এগিয়ে আসছে  মহাসচিব পদে বিএমএ’র সাবেক মহাসচিব অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, বিএমএর যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক ডা. মো. আবদুল আজিজ, স্বাচিপের যুগ্ম মহাসচিব ডা. জামালউদ্দিন চৌধুরী, বিএমএর কার্যনির্বাহী সদস্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম,  বিএমএর সিলেট জেলার সহ-সভাপতি এহতেশামুল হক চৌধুরী, বিএমএর সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ূয়া, বিএমএর আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. আবুল হাশেম খান, স্বাচিপের বিএসএমএমইউ’র সভাপতি অধ্যাপক ডা. জাকারিয়া স্বপন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. আবু ইউসুফ ফকির, অধ্যাপক  ডা. হাবিবে মিল্লাত ওরয়ে মুন্না (এমপি) ও মিটফোর্ড হাসপাতালের ইএনটি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মনিলাল আইচ লিটুর নাম শোনা যাচ্ছে।

এদিকে, নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে স্বাচিপের নেতৃত্ব বাছাই প্রক্রিয়া নিয়ে নানামুখী সমীকরণ চলছে।

এমইউ/এসএইচএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।