স্বাচিপের সংবিধান পরিবর্তন : নতুন কমিটি ১৫১ সদস্যের


প্রকাশিত: ০৩:৫৯ পিএম, ১৯ অক্টোবর ২০১৫

স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির আকার বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্বাচিপ সভাপতি ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হকের সভাপতিত্বে স্বাচিপের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে প্রায় দুই যুগ পর সংবিধান সংশোাধন ও পরিবর্তন হচ্ছে। কমিটির আকার ১০১ থেকে ১৫১ সদস্যেতে বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়েছে। স্বাচিপ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্রসংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. মনিলাল আইচ লিটু সোমবার রাতে জাগো নিউজকে বিষয়টি জানিয়েছেন।

তিনি জানান, বর্ধিত কমিটিতে দুইজন করে সহ-সভাপতি ও সাংগঠনিক সম্পাদক এবং একজন যুগ্ম মহাসচিবের পদ বৃদ্ধির অনুমোদন দেয়া হয়। এছাড়া কমিটিতে নতুন তিনটি সম্পাদক ও যুগ্ম সম্পাদক পদ (আইন ও পরিবেশ, চিকিৎসা শিক্ষা ও অ্যাপ্যায়ন) সৃষ্টির সিদ্ধান্ত হয়।

প্রায় দুই যুগ পর আগামী ১৩ই নভেম্বর রাজধানীর সোহরোওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিতব্য স্বাচিপ সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনের সাধারণ সভায় কেন্দ্রীয় কার্যনিবাহী কমিটিতে অনুমোদিত সংবিধান সংশোধন ও পরিবর্তনের বিষয়টি উত্থাপিত হবে। সদস্যদের ভোটে পাশ হলে সংবিধানে পরিবর্তন আনার সার্বিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলের জানান তিনি।  
বৈঠকে উপস্থিত স্বাচিপের একাধিক ছোটবড় নেতার সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, সহ-সভাপতি ও যাচাই বাছাই কমিটির প্রধান অধ্যাপক ডা. আলী আজগর মোড়লকে প্রধান করে গঠিত কমিটি কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে অনুসন্ধান প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদনে দেখা গেছে যাচাই বাছাইকালে এ পর্যন্ত ১৬৮ বিএনপি ও জামায়াতপন্থী চিকিৎসক স্বাচিপের সদস্য হয়েছেন এমন আভাসও পাওয়া গেছে। এছাড়া বিএমডিসির রেজিস্ট্রেশন জমা দেয়া ছাড়াই স্বাচিপের সদস্যপদ ভাগিয়ে নিয়েছেন এমন চিকিৎসক পাওয়া গেছে ১২০ জন। এছাড়া ৩৪৫ জন চিকিৎসকের সদস্যপদ দুইবার করে পাওয়া গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বাচিপের এক নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নাসিরউদ্দিন নামের এক চিকিৎসক যিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে জামায়াতের সিনিয়র সেক্রেটারি ছিলেন তিনি সাতক্ষীরা থেকে স্বাচিপের সদস্যপদ সংগ্রহ করেন। এমন অনেকেই নানা কৌশলে কেউ নেতাদের টাকা পয়সা কিংবা অন্য কোনোভাবে ম্যানেজ করে স্বাচিপ কর্মী বনে গেছেন বলে ওই নেতা মন্তব্য করেন।

সূত্র জাানয়, প্রায় ১৩ হাজার সদস্যপদ বাছাই করতে গিয়ে কমিটির নির্ধারিত সাতদিনে কাজ শেষ করতে পারেননি। সে কারণে তাদেরকে আরো এক সপ্তাহ সময় দেয়া হয়েছে। এখনো রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও বরিশাল মেডিকেল কলেজসহ মোট চারটি সরকারি প্রতিষ্ঠান ও প্রায় সকল বেসরকারি মেডিকেল কলেজের বাছাই কাজ বাকি রয়েছে।

কমিটিতে বিএনপি ও জামায়াতপন্থী হিসেবে চিহ্নিত ১৬৮ জনের সদস্যপদ বাতিলের প্রস্তাব ও এসকল চিকিৎসকদের কে বা কারা কীভাবে সদস্য বানালো তা খতিয়ে দেখে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে যাদের বিএমডিসির রেজিস্ট্রেশন নেই কিংবা সদস্যপদে ডুপ্লিকেশন রয়েছে তারা উপযুক্ত প্রমাণ দিতে পারলে সদস্যপদ বহাল রাখা হবে।

এমইউ/এএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।