মাঝেমধ্যে ইচ্ছে করেই জনগণের মাঝে ‘প্যানিক’ সৃষ্টি করতে হবে
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, ডেঙ্গুসহ যেকোনো রোগের প্রাদুর্ভাবকালে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতিবেদন তৈরিতে কৌশলী হতে হবে। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক (প্যানিক) ছড়ায় এমন প্রতিবেদন কৌশল করে লিখতে হবে, প্রয়োজনে পরিহার করতে হবে। আবার কখনও কখনও মানুষকে সচেতন করার স্বার্থে ইচ্ছে করেই আতঙ্ক (প্যানিক) সৃষ্টি করতে হবে।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মহাখালীর রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) ও বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএইচআরএফ) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘নলেজ শেয়ারিং অন ডেঙ্গু সিচুয়েশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক ওরিয়েনটেশন অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
চলতি বছর বিশ্বের ১২৭টি দেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় জানিয়ে স্বাস্থ্য মহাপরিচালক বলেন, বাংলাদেশসহ কোনো দেশ আগে থেকে বুঝতে পারেনি ২০১৯ সালে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব এতটা বাড়বে। তিনি বলেন, জলবায়ুর পরিবর্তনসহ বিভিন্ন কারণে এ বছর শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি ছিল।
ডেঙ্গুতে একজন মানুষের মৃত্যুও কাম্য নয় মন্তব্য করে মহাপরিচালক বলেন, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের ডেঙ্গুতে মৃতের তুলনায় বাংলাদেশে ডেঙ্গুতে মৃত্যু সংখ্যা অনেক কম।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ডেঙ্গুতে মোট আক্রান্তদের মধ্যে এক শতাংশের নিচে মৃত্যুবরণ করলে তা সহনীয় বলে ধরা হয়। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশে মৃত্যু হার দশমিক ২ শতাংশ।
অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, আগামী বছরও ডেঙ্গুর প্রকোপ থাকবে। তবে এ বছরের মতো এত বেশি হবে না। এ বছর যেভাবে মশক নিধন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে অতীতে কখনও এমন হয়নি বলেও দাবি করেন মহাপরিচালক।
আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিএইচআরএফ সভাপতি তৌফিক মারুফ, সাধারণ সম্পাদক নিখিল মানখিন, প্রথম আলোর বিশেষ সংবাদদাতা শিশির মোড়ল, জাগো নিউজের বিশেষ সংবাদদাতা মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল, চ্যানেল আইয়ের বিশেষ সংবাদদাতা জান্নাতুল বাকেয়া কেকা ও বিডিনিউজ২৪.কমের সিনিয়র রিপোর্টার নুরুল ইসলাম হাসিব প্রমুখ ডেঙ্গু প্রতিবেদন সম্পর্কিত অভিজ্ঞতা ও ভবিষ্যত করণীয় সম্পর্কে মতামত তুলে ধরেন।
এমইউ/এসআর/এমকেএইচ