ডেন্টাল কলেজের ১০ ট্রাক মালামাল সরানোর ঘটনায় তদন্ত কমিটি
ঢাকা ডেন্টাল কলেজের অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে অনৈতিকভাবে ১০ ট্রাক ভর্তি পুরনো যন্ত্রপাতি ও আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল ট্রাকযোগে বাইরে পাচারের অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে।
রোববার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ) স্মৃতি রানীকে প্রধান করে তিন সদস্যের সমন্বয়ে এ তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে নজরদারির অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন ঢাকা ডেন্টাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. জাহিদুর রহমান। গত ৪ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিবকে তিনি এই চিঠি দেন। তার অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে এ তদন্ত কমিটি গঠিত হয়।
ঢাকা ডেন্টাল কলেজের অধ্যক্ষ কর্তৃক কয়েক ট্রাক পুরনো মাল অন্যত্র সরিয়ে ফেলার বিষয়ে নজরদারির আবেদন শীর্ষক ওই চিঠিতে ডা. জাহিদুর বলেন, গত ১ থেকে ৩ সেপ্টেম্বর তিনদিনে প্রায় ৮-১০ ট্রাক মালামাল অন্যত্র সরিয়ে ফেলেন। এই মালামাল সরিয়ে ফেলে কীভাবে রেখেছেন বা সরকারি বিধি মতো বিক্রি করেছেন কি না, তা আমাকে অবহিত করেননি বিধায় তিনি চিন্তিত। ওই মালামালের মধ্যে পুরাতন ডেন্টাল ইউনিট যদি থাকে তবে সেজন্য ভবিষ্যতে হাসপাতালের ডেন্টাল ইউনিটের পুরাতন মালের হিসাব মেলানো কঠিন হবে।
জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে হাসপাতাল পরিচালক বলেন, পুরাতন ডেন্টাল ইউনিটের মালামাল কলেজের সম্পত্তি। তাকে না জানিয়ে মালামাল বাইরে নিয়ে যাওয়ায় ভবিষ্যতে বিপদে পড়ার আশঙ্কায় তিনি চিন্তিত। সঙ্গত কারণেই তিনি স্বাস্থ্য সচিবকে বিষয়টি অবহিত করেছেন।
তবে অভিযোগ প্রসঙ্গে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বানোয়াট উল্লেখ্য করে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ ডা. হুমায়ুন কবির বলেন, সম্প্রতি রাজধানীসহ দেশব্যাপী ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় তিনি নিজ উদ্যোগে কলেজের নারী হোস্টেলের অভ্যন্তরে ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার নির্দেশ দেন। সেখানে দীর্ঘদিন ধরে ভাঙাচোরা চেয়ার-টেবিল পড়ে থাকায় কলেজের সচিবকে ময়লা আর্বজনা দূরে কোথাও ফেলে দেয়ার নির্দেশ দেন। তার জানা মতে, মাত্র একদিনই গার্বেজ (ময়লার স্তূপ) বাইরে ফেলা হয়, তিনদিন নয়। একটি স্বার্থান্বেষী মহল তার বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে ষড়যন্ত্র করছে। গত বছর প্রিন্সিপাল হিসেবে যোগদানের সময়ও তারা যোগদানে বাধার সৃষ্টি করে। এরই ধারাবাহিকতায় বদনাম করতে মালামাল বাইরে পাচার করা হয়েছে বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এমইউ/এমএসএইচ