দেশে প্রথম মলিকুলার ল্যাব নিয়ে এলো ডিএমএফআর
রোগ নির্ণয়ে বিশ্বমানের সব পরীক্ষার জন্য দেশে বেসরকারিখাতে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিকমানের মলিকুলার ল্যাব নিয়ে এলো ডিএমএফআর মলিকুলার ল্যাব অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডি সোবহানবাগে নাভানা নিউবেরিতে ডিএমএফআর আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. দ্বীন মোহাম্মদ নুরুল হক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফাইজুর রহমান বকুল, পরিচালক আসিফ মোহাম্মদ নূর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য প্রফেসর ডা. রুহুল আমিন ও সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষক অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জটিল ও কঠিন রোগে আক্রান্ত রোগীরা চিকিৎসা নিতে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের চেন্নাই ও ব্যাঙ্গালুরু এবং সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াসহ ইউরোপ আমেরিকার বিভিন্ন দেশে যান। এতে একদিকে রোগীদের বাড়তি অর্থ ও সময় ব্যয় হয়। অন্যদিকে দেশ রাজস্ব হারায়। তাই দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে সর্বাধুনিক ল্যাব প্রতিষ্ঠা করেছে ডিএমএফআর। এখানে কম খরচে বিশ্বমানের প্রযুক্তির মাধ্যমে জটিল ও কঠিন রোগ নির্ণয় করা হচ্ছে। ফলে এখন থেকে রোগীদের আর বিদেশ যেতে হবে না।
প্রফেসর ডা. দ্বীন মোহাম্মদ নুরুল হক বলেন, ‘আমরা দেশে প্রথমবারের মতো বেসরকারিখাতে মলিকুলার ল্যাব প্রতিষ্ঠা করেছি। এখানে সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় করা হচ্ছে এবং রোগ শনাক্তকরণ টেস্ট বলে দেয় রোগের জন্য কোন ধরনের ওষুধ সেবন করতে হবে। এতে রোগীদের অযথা বাড়তি ওষুধ সেবন করতে হবে না, তেমনি ভুল চিকিৎসাও থাকবে না।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের নতুন প্রতিষ্ঠান। আমরা সাধ্যমতো মানুষের সেবা দিতে চেষ্টা করছি। সম্প্রতি ডেঙ্গু জ্বরের প্রার্দুভাব মানুষের জীবনকে বিপর্যস্ত করে তোলে। এমন পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরাও মানুষের সহযোগিতায় হাত বাড়িয়েছি। মাসব্যাপী বিনামূল্যে ডেঙ্গু চিকিৎসাসেবা দিয়েছি।’
গত ৫ আগস্ট থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিনামূল্যে ডেঙ্গু রোগ পরীক্ষা ও পরামর্শ কার্যক্রম পরিচালনা করে ডিএমএফআর।
মাসব্যাপী ডেঙ্গু কর্মসূচি চলাকালীন মোট ২ হাজার ৬৬৮ জন রোগীকে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। যার মধ্যে থেকে ১ হাজার ১২৮ রোগীর ডেঙ্গু এনএস১ টেস্ট করা হয়। যেখানে ডেঙ্গু এনএস১ পজিটিভ ৮ দশমিক ২ শতাংশ। ৩৪৬ জন রোগীর ডেঙ্গু আইজিজি ও আইজিএম টেস্ট করা হয়, যেখানে ৫০ দশমিক ৩ শতাংশ ডেঙ্গু আইজিজি পজিটিভ এবং ৯ দশমিক ৫ শতাংশ ডেঙ্গু আইজিএম পজিটিভ পাওয়া গেছে।
ডিএমএফআর মলিকুলার ল্যাব অ্যান্ড ডায়াগনস্টিককে সহযোগিতা করছে ইউরোপের বিখ্যাত স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ইডব্লিউভিলা মেডিকা ও কনকর্ড ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।
প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফাইজুর রহমান বকুল বলেন, দেশের মানুষের বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবার জন্য ডিএমএফআর মলিকুলার ল্যাব অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সংকটময় মুহূর্তে শতভাগ নির্ভুল ও উন্নত সেবা নিয়ে জনগণের পাশে দাঁড়াতে পেরে আমরা গর্বিত।
এসআই/এসআর/এমকেএইচ