শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে কর্মশালা

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০২:২০ পিএম, ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৯

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) সম্পূর্ণ শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুদের কথা শেখানো ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট হেবিলিটেশন শীর্ষক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) শহীদ ডা. মিলন হলে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট প্রকল্পের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোঃ আবুল হাসনাত জোয়ারদার এতে সভাপতিত্ব করেন। কর্মশালার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার।

এ সময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাক-কান-গলা বিভাগের চেযারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. বেলায়েত হোসেন সিদ্দিকী। ফরেন ফ্যাকাল্টি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতের ভাষা শেখানোর বিষয়ে বিশেষজ্ঞ বাহিসটাই জামশেদ ডাবু। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নাক-কান-গলা বিভাগের অধ্যাপক ডা. নাসিমা আখতার।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার বলেন, এ প্রকল্পের আওতায় এখন পর্যন্ত ৩৭২ জন সম্পূর্ণ শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুর কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট করা হয়েছে। এখন এ সকল শিশুদের কথা শেখানোর মাধ্যমে তাদের পুরোপুরি স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে নেয়া হবে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বের সফলতা আজকের উন্নয়নশীল বাংলাদেশ। বর্তমানে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশের দিকে ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুনজর রয়েছে বলেই অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা শিক্ষা, গবেষণা ও চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম অনেক দূর এগিয়েছে। জটিল জটিল রোগের সফল চিকিৎসাসেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছে। নতুন নতুন বিভাগ প্রতিষ্ঠত হয়েছে। কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সার্জারির মতো লাখ লাখ টাকার ব্যয়বহুল চিকিৎসাসেবা বিনামূল্যে করা সম্ভব হয়েছে এবং এই মহতী সেবা কার্যক্রম অব্যাহত আছে।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. মো. আবুল হাসনাত জোয়ারদার বলেন, ইতোমধ্যে ৩৭২ জন সম্পূর্ণ শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুর কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট ডিভাইস স্থাপন করা হয়েছে। এখন তাদের কথা বলা শেখাতে হবে। ভাষা শেখাতে হবে। যা সার্জনের একার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট একটি টিম ওয়ার্ক। কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সফল করতে সার্জন, অডিওলজিস্ট, স্পিচথেরাপিস্ট এবং এ সকল শিশুর মায়েদের অনন্য ভূমিকা পালন করতে হয়।

জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি বছর গড়ে ১০০ জন শ্রবণ প্রতিবন্ধীর কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট করা হচ্ছে। এ অবস্থায় কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট করাদের সত্যিকার অর্থেই পুনবার্সন করতে বা পুরোপুরি স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে নিতে একটি ‘স্পিচ হিয়ারিং অ্যান্ড ব্যালেন্স সেন্টার বা ইনস্টিটিউট চালু করা প্রয়োজন।

এমইউ/এসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।