বিএসএমএমইউ’র তিন অধ্যাপকের ‘অব্যাহতিপত্র’ পাঠানো হলো পিয়নের হাতে!

মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল
মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল , বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৩:৪৯ পিএম, ০৪ আগস্ট ২০১৯

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) তিন অধ্যাপককে নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত সহকারী প্রক্টরের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। অব্যাহতিপ্রাপ্ত তিনজন হলেন- কার্ডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এম. মোস্তফা জামান, অনকোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. নাজির মোল্লা ও নিউরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. আহসান হাবিব (হেলাল)।

শনিবার (৩ আগস্ট) আকস্মিকভাবে পিয়ন মারফত এ তিন অধ্যাপকের কক্ষে অব্যাহতিপত্র পাঠানো হয়। তবে তিন অধ্যাপকের মধ্যে দু’জন অব্যাহতিপত্র পেলেও ডা. আহসান হাবিব হজ পালনে সৌদি আরব থাকায় তিনি সেখান থেকে অব্যাহতির খবর শুনেছেন।

এদিকে অধ্যাপক পদমর্যদার তিনজন শিক্ষককে সহকারী প্র­ক্টরের অতিরিক্ত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির চিঠি পিয়ন মারফত পাঠানো ‘অত্যন্ত অসম্মানজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সিনিয়র শিক্ষক। এ ঘটনায় তাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

অব্যাহতিপ্রাপ্ত শিক্ষকরা বলছেন, যখন তাদের সহকারী প্রক্টর হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তখন ভিসির কক্ষে ডেকে আনুষ্ঠানিকভাবে হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়েছিল। নিয়মানুসারে অব্যাহতিপত্র বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দিতেই পারে। কিন্তু এভাবে পিয়নের হাতে চিঠি পাঠানো রীতিমতো অসম্মানজনক।

তারা বলেন, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ে দু্ই শতাধিক মেডিকেল অফিসার নিয়োগ নিয়ে অনিয়মের প্রতিবাদ করার কারণে ব্যক্তিগত রোষানলের শিকার হয়েছেন তারা। তিন অধ্যাপকের মধ্যে একজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলাও করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সহকারী প্রক্টর হিসেবে মোট পাঁচজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তাদের মধ্যে তিনজনকে অব্যাহতি দেওয়া হলেও বাকি দুজন নিউরোসার্জারি ও সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রেজাউল আমিন টিটু ও ডা. মো. আবু তাহেরকে অব্যাহতিপত্র দেওয়া হয়নি।

সহকারী প্রক্টর পদ থেকে তিনজনকে অব্যাহতি এবং পিয়নদের মাধ্যমে ‘অসম্মানজনকভাবে’ অব্যাহতি প্রদান সম্পর্কে রোববার (৪ আগস্ট) বিকেলে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, সাধারণত তিন বছরের জন্য সহকারী প্রক্টর নিয়োগ দেওয়া হয়। যে তিনজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে তাদের দায়িত্ব পালনের মেয়াদকাল অনেক আগেই শেষ হয়েছে। নিয়ম মেনেই তাদের অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।

চিঠির বিষয়ে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত রীতি অনুসারে যেভাবে ডেসপাস সেকশনের মাধ্যমে চিঠি প্রদান করা হয়, ঠিক সেভাবেই চিঠি পাঠানো হয়েছে। কাউকে অসম্মান করার প্রশ্নই ওঠে না। কারও বিরুদ্ধে প্রতিহিংসামূলকভাবে কিছু করা হয়নি। অন্যদের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য এ তিনজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। যে দু’জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়নি তাদেরও শিগগিরই অব্যাহিতপত্র দেওয়া হবে।

এমইউ/আরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।