ইপিআইতে যক্ষার টিকাদানের হার প্রায় শতভাগ


প্রকাশিত: ১১:৩০ পিএম, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৫

সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচীতে (ইপিআই) নবজাতক শিশুদের মধ্যে যক্ষার টিকাদানের হার প্রায় শতভাগ। যথাযথ নিয়মে টিটেনাস টক্সাইড (টিটি) টিকা দেওয়ার ফলে শতকরা ৯৩ ভাগ নবজাতক ধনুষ্টংকারের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে। দেশব্যাপী পরিচালিত ইপিআই কভারেজ মূল্যায়ন জরিপ-২০১৪ থেকে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

জরীপ অনুসারে, ২০১৪ সালে জাতীয় পর্যায়ে নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আসা শিশুর সংখ্যা গতবারের তুলনায় বেড়েছে। ইপিআই কর্মসূচিতে উদ্দিষ্ট শিশুদের সময়সূচি মেনে সবগুলো টিকাদানের হার ছিল জাতীয় পর্যায়ে শতকরা ৮১ দশমিক ৬ শতাংশ, যা গত বছর ছিল ৮০ দশমিক ৭ শতাংশ। তবে প্রথম টিকা অর্থাৎ যক্ষার বিরুদ্ধে টিকাদানের হার শতকরা ৯৯ দশমিক ২ শতাংশ।

ইপিআই কর্মকর্তারা জাগো নিউজকে জানান, বর্তমানে ইপিআই কর্মসূচির মাধ্যমে এক বছরের কম বয়সী শিশুদের ১০টি রোগের টিকা দেয়া হচ্ছে এবং ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী মহিলাদের পাঁচ ডোজ ধনুষ্টংকারের টিকা দেয়া হচ্ছে। জরীপ অনুসারে নির্দিষ্ট সময়সূচি মেনে সবগুলো টিকা দিয়ে সকল বিভাগের মধ্যে রাজশাহী বিভাগ সর্বোচ্চ কভারেজ অর্জনকারী (৮৭ শতাংশ)।

এছাড়া সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (৯০ শতাংশ), সর্বোচ্চ কভারেজ অর্জনকারী প্রথম ৩টি জেলা রাজশাহী (৯১ শতাংশ), বরিশাল (৮৮.৮ শতাংশ) ও খুলনা (৮৮.৬ শতাংশ)। আগের বছরের তুলনায় সর্বাধিক অগ্রগতি অর্জনকারী জেলার মধ্যে ময়মনসিংহ (অগ্রগতি ১৪.৯ শতাংশ), সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (অগ্রগতি ৫.৬ শতাংশ) এবং সর্বাধিক টিটি-৫ কভারেজ অর্জনকারী জেলা ফরিদপুর (৭৯ শতাংশ)।

এদিকে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচির কাভারেজ মূল্যায়ন জরিপ’ এর প্রতিবেদন প্রকাশনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। টিকাদান কর্মসূচির আওতায় দেশের শতভাগ শিশুকে আনার লক্ষ্যে কর্মসূচি জোরদার করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়ে প্রধান অতিথি স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, দেশর যে সব এলাকায় কাভারেজ দুর্বল সেখানে সমস্যা চিহ্নিত করে কর্মসূচি জোরদার করতে হবে। পাশাপাশি শতভাগ সাফল্য নিশ্চিত করতে ভালো কাজ হচ্ছে এমন জায়গাতেও কার্যক্রমকে আরো শক্তিশালী করতে হবে।

জেলা সিভিল সার্জন ও বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকদেরকে নিয়মিত মাঠ পর্যায়ের হাসপাতাল পরিদর্শন করার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের হাসপাতালে চিকিৎসকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করাই সিভিল সার্জনদের দায়িত্ব। এক্ষেত্রে শুধু ফোন করে খোঁজ নিলে হবে না। সশরীরে পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দিতে হবে।

চিকিৎসক ও নার্সদের প্রতি হুশিয়ারি দিয়ে তিনি আরো বলেন, কাজ করলে পুরস্কার পাবেন, ফাঁকি দিলে বিদায় করে দেওয়া হবে।

প্রকাশনা অনুষ্ঠানে সফলতা অর্জনকারি বিভাগ ও জেলাগুলোকে পুরস্কৃত করা হয়।

এমইউ/আরএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।