রাজধানীতে রোদেও ডেঙ্গু, বৃষ্টিতেও ডেঙ্গু

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৫:২৭ পিএম, ০৮ জুলাই ২০১৯

রাজধানীতে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ দিন দিন বেড়েই চলেছে। গত ১ জুলাই থেকে ৬ জুলাই পর্যন্ত মাত্র ছয় দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল এবং ক্লিনিকে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৭৪৬ জন। রাজধানীর বাইরেও ছড়িয়ে পড়ছে ভাইরাসজনিত ডেঙ্গু জ্বর।

রিয়াজ শিকদার নামে এক ব্যক্তি ৬ জুলাই শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। গতকাল ৭ জুলাই (রোববার) তাকে ওই হাসপাতাল থেকে রিলিজ দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইর্মাজেন্সি অপারেশনস সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার সোমবার বিকেলে (৮ জুলাই) এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

রাজধানীতে রোদ কিংবা বৃষ্টি দু’ধরনের আবহাওয়াতেই ভাইরাসজনিত রোগ ডেঙ্গুর বিস্তার ঘটছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আবহাওয়ার তাপমাত্রা বেশি থাকলে ডেঙ্গুবাহী এডিস মশার প্রজনন বেশি হচ্ছে আর বৃষ্টি হলে স্বচ্ছ পানিতে এডিস মশার বংশ বৃদ্ধির ঝুঁকি বাড়ছে। তাই জ্বর হলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দেন তারা।

স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের গত সাতদিনে মোট ৯৭৯ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১২১ জন।

সূত্র জানায়, বর্তমানে রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে মোট ৫৭১ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।

তাদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৩৯ জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ২৪ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতালে ৩৮ জন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ৫৪ জন, হলিফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে ২৭ জন, বারডেম হাসপাতালে চারজন, রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালে পাঁচজন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪৫ জন, বিজিবি হাসপাতালে ১৭ জন এবং অন্যান্য বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে মোট ২১৬ জন ভর্তি রয়েছেন।

এদিকে ডেঙ্গু মশা নির্মূল ও প্রতিরোধ সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন গত কয়েকদিন মাইকিং করছে। তারা বাড়িঘরের আশপাশ ও আঙ্গিনায় জমে থাকা স্বচ্ছ পানি অপসারণ করার পরামর্শ দিচ্ছে।

এমইউ/এনডিএস/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।