‘চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবতে হবে’

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ১০:৩৭ পিএম, ১৬ জুন ২০১৯

অ্যাসোসিয়েশন অব ফিজিশিয়ান্স অব বাংলাদেশের (এপিবি) ৩০তম বার্ষিক সম্মেলন ও আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক অধিবেশন শেষ হয়েছে। এ উপলক্ষে রোববার দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) শহীদ ডা. মিলন হলে সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। সভাপতিত্ব করেন এপিবির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. আজিজুল কাহ্হার। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন এপিবির মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এস এম মোস্তফা জামান।

ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, স্বাস্থ্য খাতের কর্মপরিধি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এপিবি তার কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য বিএমের পরামর্শ সহায়তা নিতে পারে। বর্তমানে চিকিৎসকদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে। চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না হলে স্বাস্থ্য সেবার অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব নয়।

ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দেশের চিকিৎসা সেবাসহ স্বাস্থ্য খাতে বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে এপিবি। আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক অধিবেশন ও সম্মেলনের মাধ্যমে প্রতিটি সমাজ সচেতন উৎসাহী চিকিৎসক জ্ঞান আহরণ করে একেকজন শক্তিশালী, ন্যায়বান ও বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসক হিসেবে দেশের সেবা করতে নিজেকে উপযুক্ত করে তুলবেন বলে আমি আশা করি। এ সময় মানবতার প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা ও সর্বোচ্চ নৈতিকতার ওপর গুরুত্ব দিয়ে চিকিৎসা সেবাকে এগিয়ে নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে গবেষণার প্রতি জোর দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ডা. এস এম মোস্তফা জামান বলেন, এপিবি দেশের মেডিসিন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের শীর্ষ সংগঠন এবং একটি ‘আমব্রেলা অর্গানাইজেশন’। বিশেষজ্ঞ চকিৎসকদের মধ্যে একতা, সহযোগিতা, সংহতিসহ চিকিৎসকদের স্বার্থ ও অধিকার সংরক্ষণের পাশাপাশি বৈজ্ঞানিক অধিবেশনের মাধ্যমে, গবেষণার মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান ছড়িয়ে দিতে আলোকবর্তিকা হিসেবে প্রায় তিন দশক ধরে কাজ করে আসছে এপিবি।

এমইউ/এমএসএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।