রাজধানীতে প্রতি ৪ ঘণ্টায় একজন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৪:৫০ পিএম, ১০ জুন ২০১৯

চলতি বছরের জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে রাজধানীতে গড়ে প্রতিদিন কমপক্ষে সাতজন (চার ঘণ্টায় একজন) ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। ১ থেকে ৮ জুন পর্যন্ত ৫৫ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার নিশ্চিত তথ্য পাওয়া গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ৯। এছাড়া বর্তমানে রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ২৩ জন চিকিৎসাধীন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন্স সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার আজ সোমবার দুপুরে জাগো নিউজকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৮ জুন পর্যন্ত তিন শতাধিক নারী, পুরুষ ও শিশু ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ভর্তি রোগীদের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। ইতোমধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ শেষে ২৭৯ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

ডা. আয়েশা আক্তার জানান, চলতি বছর ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত মোট ৩০৪ জন রোগীর মধ্যে প্রায় ২০০ জন গত মে ও চলতি জুনের ৮ তারিখের মধ্যে আক্রান্ত হন।

সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান জানতে চাইলে তিনি জানান, জানুয়ারিতে ৩৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১১৮, মার্চে ১২, এপ্রিলে ৪৪, মে মাসে ১৩৯ এবং চলতি জুনের ৮ তারিখ পর্যন্ত ৫৫ জন আক্রান্ত হন। আক্রান্তদের মধ্যে দুজন এপ্রিল মাসে মৃত্যুবরণ করেন।

জানা গেছে, মরদেহের মধ্যে গত ২৫ এপ্রিল রাজধানীর বিআরবি হাসপাতালে ৫৩ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা ভর্তি হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৯ এপ্রিল তিনি মারা যান। এছাড়া আজগর আলী হাসপাতালে গত ২৮ এপ্রিল ভর্তি হয়ে ৩২ বছর বয়সী এক যুবক ২৯ এপ্রিল মারা যান।

ডেঙ্গু জ্বর বিশেষজ্ঞদের মতে, জুন-জুলাই মাস ডেঙ্গুবাহী এডিস মশার প্রজনন মৌসুম। এ সময় থেমে থেমে বৃষ্টিপাতের কারণে বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির পানি জমে থাকে। জমে থাকা পরিষ্কার পানিতে এডিস মশার জন্ম হয়। বাড়ির আশপাশে যেন কোথাও পানি জমে না থাকে সে বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে।

তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবজনিত কারণে আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাবে এখন ঋতু মেনে বৃষ্টি হয় না। তাই ডেঙ্গু যেকোনো সময় ছড়িয়ে পড়তে পারে।

এমইউ/আরএস/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।