ডায়াবেটিস হলে পায়ের যত্ন নিতে হবে ঠিকঠাক

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৪৪ পিএম, ১৪ মার্চ ২০১৯

ডায়বেটিস একটি হরমোনজনিত রোগ। এ রোগকে নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে মানবদেহের টিস্যু ও যন্ত্র বিকল হতে থাকে। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের তাই বেশ কিছু সতর্কতা মেনে চলতে হয়। এর ভেতরে পায়ের যত্ন নেয়াটা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ। কারণ রোগ নিয়ন্ত্রণে না থাকলে মাত্র ১০ বছরেই স্নায়ু দুর্বল হয়ে পায়ের অনুভব শক্তি কমে যেতে পারে, যাকে ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি বলা হয়।

কম অনুভব শক্তি সম্পন্ন পা কেটে গেলে বা ঘা হলে, তা সারিয়ে তোলা বেশ কঠিন৷ বেশি সমস্যা হলে পা কেটেও ফেলতে হতে পারে৷ কাজেই মূল রোগের চিকিৎসার পাশাপাশি পায়ের যত্ন নেয়াটা খুব জরুরি। পায়ের যত্ন নিতে যা যা করণীয় সেগুলো হল-

বাইরে থেকে ঘরে ফিরেই পায়ের তলা পরীক্ষা করতে হবে। কোনো রকম কাটা দাগ বা প্রদাহ দেখতে পাচ্ছেন কি না দেখুন। নিজে না পারলে অন্য কাউকে বলতে হবে। পায়ের নীচে ছোট আয়না ধরেও দেখা যেতে পারে। ঘুমাতে যাবার আগে কুসুম গরম পানিতে পা পরিষ্কার করে শুকনো কাপড় দিয়ে ভালোভাবে মুছে নিতে হবে।

ডায়াবেটিস রোগীকে খালি পায়ে হাঁটা ঠিক না। কারণ অনুভূতি শক্তি কমলে পা কেটে গেলে বা ফোস্কা পড়লে টের পাওয়া যায় না। সেখানে ময়লা লেগে সংক্রমণ হয়ে যেতে পারে৷ পায়ের নখ সোজা করে কাটতে হবে। নখের কোণা চামড়ার মধ্যে ঢুকে গেলে নিজে কিছু না করে বা পার্লারে না কাটিয়ে পা বিশেষজ্ঞ বা পোডিয়াট্রিস্টের পরামর্শ নিতে হবে৷

পায়ের মাপে জুতা পরতে হবে। তা না হলে ফোস্কা পড়তে পারে৷ বিকেলের দিকে পা ফুলে যায় বলে জুতা ওই সময়ই কেনা ভালো। কারণ সকালে কিনলে বিকেলে ওই জুতা পায়ে ছোট হবে। এছাড়া বেশ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করে চলতে হবে। যেমন : পা কেটে গেলে বা ফোস্কা পড়লে ভাল করে ড্রেসিং করা; ডায়াবেটিস কিডনি ডিজিজ থাকলে যেখানে–সেখানে পেডিকিওর না করানো; বছরে একবার পোডিয়াট্রিস্টের কাছে পায়ের চেক আপ করানো।

পায়ের কড়া বা শক্ত চামড়া গরম পানিতে ভিজিয়ে নরম করে কেটে ফেললে সেখান থেকে সংক্রমণ হতে পারে৷ নখের কোণা চামড়ার ভেতরে বাড়লে, মরা চামড়া কেটে ফেলতে হবে। দীর্ঘদিন ডায়াবেটিসে ভুগলে পায়ের অনুভব শক্তি কমে যায়। তাই গরম পানিতে পা ডোবানো বা কোনো কিছু দিয়ে ঘষার সময় সতর্ক না থাকলে পা কেটে বড় বিপদ হতে পারে৷

পায়ে ঘা হলে প্রথম অবস্থায় স্যালাইন দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। পরে জীবাণুমুক্ত কাপড়ে ঢেকে রাখতে হবে জায়গাটা৷ ঘা না শুকানো পর্যন্ত একটু কম চলাফেরা করায় ভালো। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া যেতে পারে।

বড় ঘায়ে বিশেষ ধরনের ডায়াবেটিক জুতো পরতে হতে পারে৷ ঘা না শুকোলে, পা ফুলে গেলে, পায়ের আঙুল বা নখের রঙ বদলে গেলে, পা স্বাভাবিকের তুলনায় ঠাণ্ডা বা গরম হলে তা বিপদের লক্ষণ৷

এমএসএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।