চাকরি না করেই বেতন-ভাতা নিচ্ছেন এ চিকিৎসক

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৭:১৩ পিএম, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজে পদায়িত একজন চিকিৎসকের প্রায় সাত মাস কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার ঘটনা উদঘাটন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। হটলাইনে (১০৬) পাওয়া অভিযোগে সোমবার মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদফতরে অভিযান চালিয়ে এমন তথ্য পেয়েছে দুদক।

অর্থো-সার্জারি বিভাগের একজন সহকারী অধ্যাপক দীর্ঘ ছয় মাসেরও বেশি সময় কর্মস্থলে যোগদান করছেন না -দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন-১০৬) এমন অভিযোগ আসলে দুদক মহাপরিচালক মুহাম্মাদ মুনীর চৌধুরীর নির্দেশে পরিচালক শফিকুর রহমান ভূঁইয়ার নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল এ অভিযান চালান।

অভিযানে দুদক টিম দেখতে পায় চিকিৎসক মো. আব্দুল কাদের (কোড নং- ৪২২৬৮) স্বাস্থ্য অধিদফতর, মহাখালীতে ওএসডি থাকা অবস্থায় নড়াইল সদর হাসপাতালে সংযুক্ত ছিলেন। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ গত ১৯ জুলাই তাকে রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজে বদলি করে।

সে প্রেক্ষিতে সদর হাসপাতাল, নড়াইল কর্তৃপক্ষ তাকে ২৯ জুলাই ছাড়পত্র প্রদানপূর্বক যথাসময়ে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশ দেয়। কিন্তু তিনি সেখানে যোগদান না করেই সরকারি বেতন-ভাতা উত্তোলন করে যাচ্ছেন।

দুদক টিম আরও জানতে পারে, বদলির আদেশ বাতিল করার জন্য তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তা গৃহিত হয়েছে কি না- সেটি নিশ্চিত না হয়েই ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন তিনি।

পরে দুদক টিমের উপস্থিতিতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা তাৎক্ষণিকভাবে ওই চিকিৎসকের কাছে ব্যাখ্যা তলব করেন।

এ প্রসঙ্গে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের প্রধান মহাপরিচালক (প্রশাসন) মুহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, ‘এ ধরনের নৈরাজ্য শুধু চাকরির শৃঙ্খলা পরিপন্থীই নয়, অবধারিতভাবে এটা দুর্নীতি। কারণ, সরকারি পদে বহাল থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা এবং জনগণকে সেবা না দিয়ে বেতন-ভাতা তোলা সম্পূর্ণ বেআইনি।’

এ ব্যাপারে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এমইউ/আরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।