স্বাস্থ্য খাতে সুশাসন নিশ্চিত করাই মূল লক্ষ্য : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
নিজ নিজ ক্ষেত্রে সবাইকে যোদ্ধা উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক বলেছেন আমি, আপনি, সবাই যোদ্ধা। মন্ত্রী হিসেবে আমার লড়াই স্বাস্থ্য খাতে সুচিকিৎসা ও সুশাসন নিশ্চিত করা। চিকিৎসকরা সহযোগিতা করলে এই কাজ সহজ হয়ে যায়।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসাপাতাল পরিদর্শন শেষে কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল এ বি এম মাকসুদুল আলম, হাসপাতালের পরিচালক উত্তম কুমার বড়ূয়া, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদসহ চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের সবার লক্ষ্য এক ও অভিন্ন। আমাদের স্বাস্থ্যখাতে বাজেট সীমিত। এই বাজেটের যাতে অপচয় না হয়, বেশিও না থাকে, খরুচে হিসেবি থেকে কাজ করতে হবে। অন্য মন্ত্রী এমপিরা হাসপাতালে এলে যেন ভাল বলেন, রোগীরা যেন সঠিক চিকিৎসা ও সেবা পান সেটা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা যে বিশাল ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় এসেছি, সে সম্মান রক্ষা ও সুসংহত করতে হবে। আর সেজন্য যার যা দায়িত্ব তা সঠিকভাবে পালন করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা হলাম ম্যানেজার, আমরা ম্যানেজ করবো যা দরকার। কিন্তু কাজটা কিন্তু আপনাদেরই করতে হবে।
পরিচ্ছন্নতা ও সেবার মানে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, হাসপাতালের পরিচালক, চিকিৎসক, আমি প্রতিমন্ত্রী বললেই এই হাসপাতাল ভাল বলা যাবে না, যদি রোগী ও তাদের স্বজনরা যারা এখানে সেবা নিতে এসেছেন তারা ভাল না বলেন। ভাল লেগেছে রোগীরা হাসপাতালের পরিবেশ চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রশংসা করেছেন। তবে নার্সের সংখ্যা ও টয়লেট নিয়ে আপত্তি আছে। সেটা আপনারা দেখবেন। পাশাপাশি হাসপাতালে চিকিৎসা ও রোগীদের তথ্য সফ্টওয়্যার ডাটাবেইজে সংরক্ষণ সিস্টেমের প্রশংসা করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, সব সময় ঘাড় ধরে কাজ করানো কিংবা কাউকে সংশোধন করা যায় না। এই জন্য সুপারভিশন, মনিটরিং বাড়াতে হবে। কেউ অলস হলে, কাজে আসতে দেরি করলে কথা বলুন, নজরদারিতে রাখুন, তাগাদা দেন, দেখবেন সংশোধন হয়ে গেছে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক উত্তম কুমার বড়ূয়া বিভিন্ন দাবি দাওযা উত্থাপন করেন।
এরমধ্যে রয়েছে- এক্সটেনশন ভবনের লজিস্টিক সাপোর্ট, ক্যানসার বিভাগে রেডিও থেরাপি মেশিন স্থাপন, আইসিইউ ১০ শয্যা থেকে বাড়িয়ে ২০ শয্যা করা, ডায়ালাইসিস ইউনিটকে ১০ থেকে বাড়িয়ে ২০ শয্যা করা। এসময় উত্থাপিত দাবি দাওয়া দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমাধানের কথা জানান মন্ত্রী।
জেইউ/এমএমজেড/জেআইএম