ক্যান্সার শনাক্তে নতুন উপায়

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৩৩ এএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮
কম্পিউটার সফটওয়্যারের সাহায্যে টিউমারের মতো একই ধরনের একটি ত্রিমাত্রিক প্রতিকৃতি পুনর্নির্মাণ করা হয়

ত্রিমাত্রিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ক্যান্সারের ‘ভার্চুয়াল টিউমার’ তৈরি করেছেন ক্যামব্রিজের বিজ্ঞানীরা। যা ক্যান্সার শনাক্ত করার নতুন উপায় বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। এর ফলে কোনো রোগীর শরীর থেকে টিউমারের নমুনা নিয়ে সেটিকে বিস্তারিতভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা যাবে। সেটিকে সবদিক থেকে দেখে প্রতিটা কোষ আলাদাভাবে চিহ্নিত করা যাবে।

গবেষকরা বলছেন, ‘এ প্রযুক্তি ক্যান্সার রোগটিকে আরও ভালোভাবে বুঝতে এবং ক্যান্সার মোকাবেলায় নতুন চিকিৎসা বের করতে সহায়তা করবে।’ আন্তর্জাতিক গবেষণার একটি অংশ হিসাবে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

এটি কিভাবে কাজ করবে?
গবেষকরা স্তন ক্যান্সারের এক মিলিমিটার আকৃতির একটি টিস্যু বায়োপসি নমুনা হিসাবে বেছে নেবেন গবেষকরা, যেখানে প্রায় ১ লাখ কোষ থাকবে। এরপর সেই টিস্যুটিকে পাতলা করে কেটে স্ক্যান করা হবে এবং তার আণবিক গঠন ও ডিএনএ বৈশিষ্ট্যগুলো মার্কার দিয়ে চিহ্নিত করা হবে। এরপর কম্পিউটার সফটওয়্যারের সাহায্যে সেই টিউমারের মতো একই ধরনের একটি ত্রিমাত্রিক প্রতিকৃতি পুনর্নির্মাণ করা হবে।

ভার্চুয়াল রিয়েলিটি দেখার সুবিধা আছে, এ রকম কোনো গবেষণাগার থেকে এ ত্রিমাত্রিক টিউমারটি দেখা এবং বিশ্লেষণ করা যাবে। এ পদ্ধতিতে বিশ্বের যেকোনো স্থান থেকে একই সঙ্গে একাধিক ব্যবহারকারী ভিআর সিস্টেমের সাহায্যে টিউমারটি বিশ্লেষণ করতে পারবেন।

যুক্তরাজ্যের ক্যান্সার রিসার্চ ইউকে ক্যামব্রিজ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক গ্রেগ হ্যানন বলছেন, ‘এত বিস্তারিতভাবে এর আগে আর টিউমার বিশ্লেষণ করা সম্ভব হয়নি। ক্যান্সার গবেষণায় এটি একটি নতুন উপায়।’

যদিও মানব কোষের সত্যিকারের আকৃতি পিনের মাথার মতো সামান্য, তবে এই গবেষণাগারের ভিআর প্রযুক্তিতে সেটিকে কয়েক মিটার বড় করে দেখা যায়।টিউমার কোষটিকে আরও ভালো করে বুঝতে ভিআর প্রযুক্তির সাহায্যে গবেষকরা সেসব কোষের ভেতরও ঘুরে দেখতে পারেন।

ভার্চুয়াল টিউমারটি নিয়ে কেমব্রিজ গবেষকরা কাজ করছেন। প্রতিষ্ঠানের প্রধান বৈজ্ঞানিক অধ্যাপক কারেন ভোসডেন ফ্রান্সিস ক্রিক ইনস্টিটিউটে একটি গবেষণাগার পরিচালনা করছেন, যেখানে গবেষণা করা হয় যে, কিছু নির্দিষ্ট জিন কিভাবে ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে এবং তারা ভুল পথে গেলে কি হয়?

অধ্যাপক কারেন ভোসডেন ফ্রান্সিস ক্রিক বলেন, ‘কিভাবে ক্যান্সার কোষগুলো একে অপরের সঙ্গে কাজ করে, বিশেষ করে ভালো কোষের ক্ষেত্রে সেটা বোঝা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যদি আমরা নতুন চিকিৎসা উপায় খুঁজে বের করতে চাই। সুতরাং এখন আমরা যে দ্বিমাত্রিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছি, তার চেয়ে এই নতুন আবিষ্কার করা ত্রিমাত্রিক প্রযুক্তি দিয়ে ক্যান্সার টিউমার দেখতে পারাটা এ কারণে খুবই সহায়ক একটি উপায় হবে।’ সূত্র : বিবিসি

আরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।