এসব উপসর্গ থেকে সাবধান, হতে পারে জরায়ু ক্যান্সারের লক্ষণ
যেসব ক্যান্সারে নারীরা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হন তার অন্যতম হলো জরায়ুর ক্যান্সার। এ ক্যান্সারের কারণ হিসেবে উঠে আসে- অনিয়ন্ত্রিত যৌন জীবন, বার বার সন্তানসম্ভবা হওয়া। এ ছাড়া জরায়ুর যেকোনো সংক্রমণ থেকেও দানা বাঁধতে পারে এ ক্যান্সার। আবার জরায়ুতে পাথর ও তার ঠিক সময়ে চিকিৎসা না হওয়ার কারণেও এই অসুখের শিকার হন অনেকেই।
ক্যান্সারের অন্যতম একটা সমস্যা হলো অধিকাংশ ক্ষেত্রে এ রোগের কথা বুঝে ওঠার আগেই অনেকটা সময় পেরিয়ে যায়।
প্রতিবছর প্রায় আড়াই লাখ নারী জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। আর প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা না শুরু করাতে আক্রান্তদের বেঁচে থাকার হার ৫২ শতাংশ কমে যায়।
আবার প্রাথমিক অবস্থায় এই ক্যান্সারে তেমন কোনো শারীরিক কষ্ট অনুভব না হওয়ায় এটা বুঝতে পারাটাই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু উপসর্গ দেখলেই সচেতন হওয়া উচিৎ। প্রাথমিক স্তরে এই ক্যানসারকে রুখে দেওয়ার অন্যতম পদক্ষেপ এই উপসর্গগুলোকে চেনা। যত দ্রুত এই ধরনের ক্যানসারের চিকিৎসা শুরু করা যাবে, ততই প্রাণ বাঁচানোর পথে এগিয়ে থাকবেন রোগী।
একজন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ বলছেন, মেনোপজ এসে যাওয়ার পরেও যদি হঠাৎ কোনো কারণে পিরিয়ড শুরু হয়, তবে আজই সাবধান হোন। সাধারণত, জরায়ুর গায়ে জন্মানো টিউমার ফেটেই এই অকাল রক্তক্ষরণ শুরু হয়। আর এই টিউমারের ঘা থেকেই ক্যানসার শুরু হয়। যাদের মেনোপজ শুরু হয়নি জরায়ুর ক্যান্সারে অক্রান্ত হতে পারেন তারাও। সে ক্ষেত্রে পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত রক্ষক্ষরণ ও পেটে ভয়ানক ব্যথা হবে।
এ ছাড়া জরায়ুর ক্যানসারের আরেক প্রাথমিক লক্ষণ হঠাৎই অতিরিক্ত পরিমাণে সাদা স্রাব শুরু হওয়া। যত দিন এগোয় পেটে ব্যথা, বমি ভাব, ক্ষুধামান্দ্য, তলপেটে চাপ লাগা, ওজন হ্রাস ইত্যাদি উপসর্গ এই অসুখের ক্ষেত্রে আসে। তবে প্রাথমিক স্তরে মূলত এমন তিন উপসর্গ এলেই সচেতন হোন ও দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
এনএফ/জেআইএম