নিষিদ্ধ প্যারাসিটামল কম্বিনেশন ট্যাবলেটের অবাধ বিক্রি


প্রকাশিত: ০৩:৩৮ পিএম, ১৫ আগস্ট ২০১৫
ফাইল ছবি

নিষিদ্ধ ঘোষিত প্যারাসিটামল কম্বিনেশন ট্যাবলেট মুড়ি-মুড়কির মতো ফার্মেসিতে অবাধে বিক্রি হচ্ছে। ওষুধ বিক্রেতারা এখনো জানেনই না- কবে, কখন ও কারা এ ওষুধটির রেজিস্ট্রেশন বাতিল করেছে।

গত ২ আগস্ট ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরে অনুষ্ঠিত ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কমিটির ২৪৪তম বৈঠকে প্যারাসিটামল ৫০০এমজি+ডিএলমেথিওনাইন ১০০এমজি(paracetamol500mg+DLMethionine100mgTablet) ট্যাবলেটের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হয়।

কারিগরি কমিটির সদস্য ওষুধ বিশেষজ্ঞরা প্যারাসিটামল কম্বিনেশন ট্যাবলেটটি সেবনের ফলে মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার শিকার হয়ে ক্যান্সার, হৃদরোগ, ডায়াবেটিক, লিভার, যকৃত, কিডনিজনিত জটিলতাসহ মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে অভিমত ব্যক্ত করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১১ সালের ১১ আগস্ট এ ওষুধটির অনুমোদন দেয়া হয়। বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্ন নামে (রেনেটার প্যারাডট, বেক্সিমকো নাপা সফট, অপসোনিন রিনোনেট ইত্যাদি) বিক্রি করছে।

ওষুধ বিশেষজ্ঞরা জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ড্রাগ অ্যান্ড ফুড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) ও মেডিসিন অ্যান্ড হেলথ কেয়ার প্রোডাক্ট রেগুলেটরি (এমএইচআরএ) কর্তৃক অনুমোদিত না থাকলেও ওই সময় ব্রিটিশ ন্যাশনাল  ফরমুলারি (বিএনএফ)-৬১ এর ভিত্তিতে অনুমোদন দেয়া হয়। বর্তমান বিএনএফ-৬৯ এ অন্তর্ভুক্তি নেই।

তারা জানান, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে যে দেশ কম্বিনেশন ট্যাবলেটটি প্রথমে উৎপাদন শুরু করেছিল তারা বাজার  থেকে ওষুধটি প্রত্যাহার করে নেয়। তাছাড়া ১২ বছরের নীচের কোন শিশুর জন্য মেথোনিন ব্যবহার করার অনুমতি না থাকায় ওষুধটির রেজিস্ট্রেশন বাতিলের পরামর্শ দেন।

শাহবাগ, ধানমন্ডি, লালবাগ ও আজিমপুর এলাকার একাধিক ফার্মেসি ঘুরে দেখা  গেছে নিষিদ্ধ ওষুধটি এখনও অবাধে বিক্রি হচ্ছে। আনিসুজ্জামান নামে এক ফার্মেসির স্টাফ জানান, ওষুধ নিষিদ্ধ হয়েছে এমন কথাতো কোম্পানি থেকেও  তাদের জানানো হয়নি।

জানা গেছে, ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কমিটির একইদিনের বৈঠকে রসিগ্লিটাজন (২ ও ৪ এমজি) ও পায়োগ্লিটাজন (৩০ ও ৪৫ এমজি) ওষুধ দুটির রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হয়। তবে কার্যকারিতা বিবেচনায় পায়োগ্লিটাজন (১৫ এমজি) বিভিন্ন সতর্কতামূলক তথ্যাদি মুদ্রণের শর্তে উৎপাদনের অনুমতি দেয়া হয়।

নিষিদ্ধ এ ৩টি জেনেরিক এ ওষুধগুলো বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্ন নামে উৎপাদন ও বাজারজাত করছে। ব্র্যান্ডের হিসেবে এ সংখ্যা ৫০টির মতো হতে পারে বলে জানা গেছে।

ওষুধ প্রশাসন পরিদফতরের ড্রাগ সুপারিনডেনটেন্ট সৈকত করের কাছে নিষিদ্ধ ওষুধ এখনো বাজারে বিক্রির ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গতকাল বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে বিভিন্ন কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন বাতিলকৃত ওষুধের তালিকাসহ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। এখন থেকে কোন ফার্মেসিতে এসব বিক্রি  হলে তা জব্দ ও বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।

এমইউ/এসএইচএস/এমআরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।