সাত মেডিকেল টেকনোলজিস্ট : না ঘরকা না ঘাটকা

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৯:১০ পিএম, ১৭ জুলাই ২০১৮

তারা সরকারি সাত মেডিকেল টেকনোলজিস্ট। স্বাস্থ্য অধিদফতরের অধীনে ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরিতে (ডিটিএল) মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাবরেটরি) পদে চাকরিতে যোগদান করেছিলেন।

কিন্তু পরবর্তীতে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর গঠিত হলে ডিটিএলকে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের অধীনে ন্যস্ত করা হয়। অধিদফতরের সাংগঠনিক কাঠামো পুনর্গঠন হলে ডিটিএলের অধীনে কোনো মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাবরেটরি) পদ রাখা হয়নি। ফলে তাদের পদোন্নতি থমকে যায়। বিধিবহির্ভূতভাবে বিভিন্ন খাত থেকে তাদের দেয়া হচ্ছে বেতন-ভাতা। ফলে সরকারি চাকরিজীবী হয়েও তারা ‘না ঘরকা না ঘাটকা’ (ঘরেরও নয়, পরেরও নয়) হয়ে অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছেন।

এমতাবস্থায় ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরে কর্মরত এই সাত মেডিকেল টেকনোলজিস্টকে স্বাস্থ্য অধিদফতরে ফেরত চেয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আগামী সাতদিনের মধ্যে তাদের ছাড়পত্র প্রদানের অনুরোধ জানিয়ে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালককে চিঠি দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

এই সাত মেডিকেল টেকনোলজিস্ট হলেন- মোহাম্মদ জাবেদ জাহাঙ্গীর, মো. আহসানুর রহমান, মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মো. গোলাম মোস্তফা, মো.মানিক, নাসরিন সুলতানা ও কাজি সুমন।

জানা গেছে, গত ১৬ জুলাই স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ওই চিঠিতে সাত মেডিকেল টেকনোলজিস্টকে নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার পটভূমি তুলে ধরা হয়। তাদের বিধিবহির্ভূতভাবে বেতন প্রদান, পদবিহীন অবস্থায় থাকা, পদোন্নতির সুযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করা হয় চিঠিতে। এ জন্য সাতদিনের মধ্যে তাদের স্বাস্থ্য অধিদফতরে ফেরত পাঠানোর নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানানো হয়।

এমইউ/জেডএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।