বিএসএমএমইউতে ফিস্টুলা সেন্টারের ওয়েবসাইট উদ্বোধন

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৬:৪৩ পিএম, ১৪ জুলাই ২০১৮

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ফিস্টুলা সেন্টারের ওয়েবসাইট (www.ufcbsmmu.org) উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার (১৪ জুলাই) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মিল্টন হলে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া ওয়েবসাইটির উদ্বোধন করেন।

এর আগে সকাল ১০টায় ‘সেফার সার্জারি ফর প্রিভেনশন অফ ফিমেল জেনিটাল ফিস্টুলা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউএসএআইডির ডেপুটি ডিরেক্টর ড. জোসেফ মনিহিন। সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অবসটেট্রিকস অ্যান্ড গাইনোকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. তৃপ্তি রাণী দাস। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ইউনিভার্সিটির ফিস্টুলা সেন্টারের প্রজেক্ট অ্যাডভাইজার অধ্যাপক ডা. সালেহা বেগম চৌধুরী।

সেমিনারে যুক্তরাষ্ট্রের হাভার্ড ইউনিভার্সিটি থেকে প্রজক্টেরের মাধ্যমে ‘সার্জিক্যাল অ্যান্ড অ্যানেসথেশিয়া কেয়ার উয়িথ দ্যা কনটেক্সট অফ গ্লোবাল হেলথ’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইমার্জেন্সি অ্যান্ড অ্যাসেনশিয়াল সার্জিক্যাল কেয়ার প্রোগ্রামের কনসালটেন্ট কী বি পার্ক। এ ছাড়া গ্লোবাল সার্জারি অবসটেট্রিকস অ্যান্ড অ্যাসেনশিয়াল বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনিভার্সিটি অফ আলবার্টার রেসিডেন্ট লিনা রোয়া।

প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএসএমএমইউয়ের অ্যানেসথেশিয়া, অ্যানালজেশিয়া অ্যান্ড ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বনিক, অবসটেট্রিকস অ্যান্ড গাইনোকোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শিউলী চৌধুরী, আন্তর্জাতিক সংস্থা এনজেন্ডার হেলথের ফিস্টুলা কেয়ার প্লাস প্রকল্পের ডা. এস কে নাজমুল হুদা। ইউনিভার্সিটির ফিস্টুলা সেন্টারের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন সহযোগী অধ্যাপক ডা. শারমীন মাহমুদ।

উল্লেখ্য, দেশে মহিলাদের ফিস্টুলা অন্যতম নারী স্বাস্থ্য সমস্যা। বাধাগ্রস্ত প্রসবের ফলে সময়মতো পর্যাপ্ত চিকিৎসার অভাবে সাধারণত প্রসবজনিত ফিস্টুলা হয়ে থাকে। কোনো কোনো সময় সিজারিয়ান সেকশন অপারেশন, জরায়ু অপসারণের অপারেশন ও ল্যাপারোস্কপিক অপারেশনের পরেও ফিস্টুলা হতে পারে। কোনো কোনো প্রসাবের সময় যৌনিপথ ছিঁড়ে পায়ু পথে মিশে যায়। এসব ক্ষেত্রে আক্রান্ত মহিলাদের সন্তান প্রসবের রাস্তা দিয়ে সব সময় প্রসাব বা কখনো পায়খানা ঝরতে থাকে। এ সমস্যাজনিত মহিলাদের ফিস্টুলা কর্মসূচির আওতায় চিকিৎসা, প্রতিকার প্রতিরোধ ও প্রশিক্ষণ ইত্যাদির জন্য কাজ করছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিভার্সিটি ফিস্টুলা সেন্টার।

দেশে এখনো প্রায় সাড়ে ১৯ হাজার নারী ফিস্টুলায় ভুগছেন। জাতিসংঘ ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্ব থেকে ফিস্টুলা নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে। বাংলাদেশ এ লক্ষ্য অর্জনে বদ্ধপরিকর।

এমইউ/এএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।