ওষুধের দাম সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনার পরামর্শ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
ওষুধের দাম সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মো. নাসিম।
তিনি বলেন, ওষুধ উৎপাদনে বিভিন্ন পর্যায়ে কর ছাড় দেয়া হচ্ছে। তাই ওষুধের দাম ক্রয় তার মধ্যে নির্ধারণ করতে হবে।
শনিবার (৭ জুলাই) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ওয়ান ফার্মার প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের সময় এ কথা বলেন তিনি।
বৈঠকে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব জি এম সালেহ উদ্দিন, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মোস্তাফিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, ওয়ান ফার্মা লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেএসএম মোস্তাফিজুর রহমানসহ ওয়ান ফার্মা লিমিটেডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, সরকারের সম্পদ সীমিত। বেসরকারি খাতের উপর ভর করে দেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। স্বাধীনতার পর ওষুধের
চাহিদা পূরণে আমদানি করা হত। এখন নিজেদের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিশ্বের প্রায় ১৫০টি দেশে ওষুধ রফতানি হচ্ছে।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশে ওষুধ রফতানির অনুমোদন পাওয়া কঠিন। এরপরও সেখানে বাংলাদেশের কয়েকটি কোম্পানি ওষুধ রফতানি করছে। এ থেকেই বোঝা যায় দেশে আন্তর্জাতিকমানের ওষুধ উৎপাদন হচ্ছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ওয়ান ফার্মা অল্প সময়ের মধ্যেই আফগানিস্তান, মিয়ানমার ও ইয়েমেনে ওষুধ রফতানি শুরু করেছে। এ জন্য তিনি ওয়ান ফর্মা কর্তৃপক্ষকে অভিনন্দন জানান।
অনুষ্ঠানে ওয়ান ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেএসএম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ২০১৫ সালের নভেম্বরে কোম্পানির যাত্রা শুরু হয়। যাত্রার প্রথম দুই বছরে তারা শহর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত এলাকায় মানসম্পন্ন ওষুধ পৌঁছে দিয়েছে। ইতোমধ্যে তারা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও ওষুধ রফতানি শুরু করেছে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০০৮ সালে দেশে চার হাজার ৬০০ কোটি টাকার ওষুধ উৎপাদন হতো। বর্তামানে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ দশ বছরে ওষুধ শিল্পের প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় পাঁচগুণ।
এমইউএইচ/এএইচ/আরআইপি