প্রতি দশজনে একজন থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত

‘জনসচেতনতা গড়ে তুলুন, থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধ করুন’-এই স্লোগানকে সামনে রেখে জনসচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের উদ্যোগে ‘থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধ বিষয়ক’ সেমিনার মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, ‘প্রতি দশজন মানুষের মধ্যে প্রায় একজন থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত। আর সারা পৃথিবীতে প্রায় আটাশ কোটি মানুষ কোনো না কোনভাবে এই রোগ আক্রান্ত। বংশগত ও উত্তরাধিকার সূত্রে এই রোগের সূত্রপাত হয়। এই রোগের চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। আমাদের পরবর্তী বংশধরদের জন্য সতর্ক হতে হবে। নির্ধারিত সময়ে উপযুক্ত চিকিৎসা করা গেলে অনেক জীবন বেঁচে যাবে এবং আর্থিক সাশ্রয় ঘটবে।’

সেমিনারে প্রধান বক্তা হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এবং বেসরকারি সংস্থা আইদেশির বৈজ্ঞানিক সমন্বয়ক ড. সাইয়াদ সালেহীন কাদরী থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধে করণীয় বিভিন্ন দিক সম্পর্কে আলোকপাত করেন। এ সময় ড. কাদরী থ্যালাসেমিয়ার বাহক কারা, বাংলাদেশে এর প্রকোপ ও প্রভাব এবং এই রোগ হতে কীভাবে মুক্তি পাওয়া যাবে ইত্যাদি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন।

 

JNU-6

প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. লাইসা আহমদ লিসার সভাপতিত্বে আইদেশির জ্যেষ্ঠ ও প্রধান বিজ্ঞানী ড. কায়সার মাননূর বক্তব্য প্রদান করেন। এছাড়াও সেমিনার আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য প্রদান করেন আয়োজন কমিটির সদস্য সচিব ও বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাজ্জাদুল ইসলাম।

সেমিনারে মূল বক্তব্য শেষে ড. কাদরী থ্যালাসেমিয়া রোগ সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। এ সময় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এ দিকে সেমিনার শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের নিচতলায় বিনামূল্যে থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক নির্ণয় কর্মসূচি পালিত হয়।

মাহমুদুল হাসান তুহিন/এসআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।