রোহিঙ্গা আশ্রিতদের বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা দেবে অরবিস

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৭:৪১ পিএম, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা আশ্রিত ও স্থানীয় জনগণকে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ও সেবা দেবে অরবিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক এ সংস্থাটি মঙ্গলবার কক্সবাজার বায়তুশ শরফ হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর হয়।

অরবিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর কমিউনিকেশন্স ও মিডিয়া স্পেশালিস্ট সুমন ফ্রান্সিস গমেজ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বাংলাদেশ সরকারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ে স্বাক্ষরিত এ চুক্তির আওতায় কাতার ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্টের আর্থিক সহায়তা ‘কাতার ক্রিয়েটিং ভিশন (কিউসিভি) এক্সপান্ডিং আই কেয়ার’ নামের একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।

এ প্রকল্পের মাধ্যমে কক্সবাজার জেলার উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার শরণার্থী ক্যাম্পে অবস্থানরত রোহিঙ্গা আশ্রয়প্রার্থী ও স্থানীয় জনগণের চোখের চিকিৎসায় জরুরি ও প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান করা হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুটি ধাপে বাস্তবায়িত এ প্রকল্পের প্রথম বছরে ৫০ হাজার মানুষের (যাদের ৬০% শিশু ও ৪০% প্রাপ্তবয়স্ক) চোখ পরীক্ষা করা হবে, ৮ হাজার শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ককে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও চশমা প্রদানসহ কমপক্ষে ২০ জন শিশু ও ৮৫০ জন প্রাপ্তবয়স্কের চোখের অপারেশন (চোখের জটিল ছানি ও অন্যান্য) করা হবে। এছাড়া, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ২৫০ জন প্রাথমিক স্বাস্থ্যকর্মী ও চক্ষু সেবায় নিয়োজিত লোকবলের দক্ষতা বাড়ানো হবে।

চুক্তিতে সই করেন অরবিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. মুনীর আহমেদ ও কক্সবাজার বায়তুশ শরফ হাসপাতালের জেনারেল সেক্রেটারি এম এম সিরাজুল ইসলাম।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মাদ মিজানুর রহমান, অরবিস ইন্টারন্যাশনালের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বব র‌্যাঙ্ক, কক্সবাজার বায়তুস শরফ হাসপাতালের প্রেসিডেন্ট হযরত মাওলানা মোহাম্মদ কুতুব উদ্দিন এবং অরবিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের ডিরেক্টর অফ প্রোগ্রামস মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. ইকবাল হোসেন ও প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর পারভেজ হোসেন।

এমইউ/জেএইচ/আইআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।