পাঁচ বছরেও নির্মিত হয়নি ইপিআই’র স্বতন্ত্র ওয়ার হাউজ

মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল
মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল , বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৭:২৮ এএম, ০৯ ডিসেম্বর ২০১৭

রাজধানীর মহাখালীতে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট সংলগ্ন সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) অধীনে পাঁচ বছর আগে স্বতন্ত্র ওয়ার হাউজ নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হলেও এখন পর্যন্ত তা আলোর মুখ দেখেনি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ হেলথ পপুলেশন অ্যান্ড নিউট্রেশন সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (এইচপিএনএসডিপি) আওতায় ফিজিক্যাল ফ্যাসিলিটিজ ডিপার্টমেন্ট অপারেশন প্ল্যানে (ওপি) অর্থ বরাদ্দ থাকলেও স্বতন্ত্র ওয়ার হাউজ নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় জমি বরাদ্দ না পাওয়ায় দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও সেটি নির্মিত হয়নি। এ নিয়ে গত পাঁচ বছর ধরে ইপিআই, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের মধ্যে চিঠি চালাচালি চলছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০১৩ সালে গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন অ্যান্ড ইম্যুনাইজেশনের (গাভি) পরামর্শে ইপিআইতে নিউমোকক্কাস ও রোটা ভাইরাসসহ বিভিন্ন ধরনের ভ্যাকসিন কেন্দ্রীয়ভাবে সংরক্ষরণের জন্য স্বতন্ত্র ওয়ার হাউজ, কোল্ড রুম ও ফ্রিজার রুম নির্মাণের পরিকল্পনা ও উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।

ইপিআই’র নিজস্ব জমি না থাকায় ইপিআই’র পাশেই জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের ১১২ দশমিক ৯৩ ডেসিমাইল জমি বরাদ্দ চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়। ওই সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের কাছে জমি প্রদানের বিষয়ে জানতে চাইলে তৎকালীন পরিচালক জানান, ইপিআই কেন্দ্রীয় স্টোরের পূর্বপার্শ্বে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের যে জমি ওয়ার হাউজ নির্মাণের জন্য চাওয়া হয়েছে সেই জমিতে ইনস্টিটিউটের কর্মচারীরা পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করেন। অতএব ওই জমি বরাদ্দ দেয়া সম্ভব নয়। তাদের ওই মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জমি বরাদ্দের বিষয়ে নেতিবাচক নোট প্রদান করে।

সম্প্রতি ইপিআই থেকে আবারও ওয়ার হাউজ নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, জমি বরাদ্দের ব্যাপারে পাঁচ বছর আগেই মতামত প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে। নতুন করে আবেদন করলেও তাদের কিছুই করার নেই। তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে উদ্যোগ নিয়ে জমি বরাদ্দের বিষয়টি বিবেচনা করতে পারেন বলে ওই কর্মকর্তা মন্তব্য করেন।

উল্লেখ্য, বর্তমানে ইপিআইতে ১০টি ওয়াক ইন কুলারে সব ধরনের ভ্যাকসিন সংরক্ষণ ও বিতরণ করা হয়।

এমইউ/এআরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।