চার মাসের মধ্যে লাইসেন্স না করলে বন্ধ হবে ফার্মেসি

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৩:৪৯ পিএম, ১৮ অক্টোবর ২০১৭

রাজধানীসহ সারাদেশে চালু লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসিগুলোকে যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে শেষবারের মতো লাইসেন্স নেয়ার সুযোগ দেয়া হচ্ছে। আগামী চার মাসের মধ্যে এই লাইসেন্স নিতে হবে। এরপর লাইসেন্সবিহীন সব ফার্মেসি বন্ধ করে দেয়া হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এই ঘোষণা দিয়েছেন।

বুধবার বিকেলে রাজধানীর মহাখালীর ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরে ‘জাতীয় ওষুধ নীতি-২০১৬ বাস্তবায়ন কৌশল’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির নেতাদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে নাসিম এ ঘোষণা দেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়- লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসিকে লাইসেন্স প্রদান করবে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। চার মাস পর ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের পক্ষ থেকে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম চালিয়ে লাইসেন্সবিহীন সব ফার্মেসি বন্ধ করে দেয়া হবে। ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর থেকে আগামী সপ্তাহে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞাপন দিয়ে লাইসেন্স গ্রহণের জন্য লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসির মালিকদের কাছ থেকে আবেদনপত্র আহ্বান করা হবে।

সভায় ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের পরিচালক রুহুল আমিন জানান, বর্তমানে দেশে ১ লাখ ২৩ হাজার ৮৩৬টি লাইসেন্সধারী ওষুধের ফার্মেসি রয়েছে। তাদের হিসাবে লাইসেন্সবিহীন ওষুধের ফার্মেসির সংখ্যা ১৯হাজার ২৫৪টি।

তিনি বলেন, ড্রাগ অ্যাক্ট ১৯৪০-এর ১৮ এর সি ধারা অনুযায়ী ওষুধ উৎপাদন বিক্রয়, সংরক্ষণ, প্রদর্শন বা বিতরণের জন্য ড্রাগ লাইসেন্স আবশ্যক। ড্রাগ অ্যাক্ট ১৯৪০-এর ২৭ ধারা অনুসারে ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়া ওষুধ ব্যবসা পরিচালনা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এছাড়া ২২ এর এইচ ধারা অনুসারে লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসি তালাবদ্ধ ও সিলগালা করে দেয়ার বিধান রয়েছে।

তিনি বলেন, লাইসেন্সবিহীন ওষুধের ফার্মেসি জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। এ ধরনের ফার্মেসিতে নকল, কাউন্টারফিট , আন-রেজিস্ট্রার্ড ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির প্রবণতা দেখা যায়। সাধারণ মানুষ প্রতারিত ও স্বাভাবিক ওষুধের ব্যবসার পরিবেশ ব্যাহত হয়। তিনি অনতিবিলম্বে লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসির বিরুদ্ধে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম চালানোর জন্য অনুমতি প্রার্থনা করেন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও বিএমএ মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী এ প্রসঙ্গে বলেন, হুট করে লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসি বন্ধ করা হলে বহু মানুষের রুটি-রুজি বন্ধ হয়ে যাবে। তাই এ ধরনের নির্দেশনা দেয়ার আগে সময় দেয়া প্রয়োজন।

বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি সাদেক হোসেন লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসিগুলোকে বন্ধ না করে চার মাসের সময় দিয়ে লাইসেন্সের আওতায় আসার সুযোগ দিতে অনুরোধ জানান।

এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী চার মাসের সুযোগ দিয়ে এরপর ক্র্যাশ প্রোগ্রাম চালিয়ে লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসি বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দেন।

এমইউ/জেডএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।