স্বাস্থ্যখাতে সর্বোচ্চ জবাবদিহিতার সঙ্গে কাজ করছে সরকার

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৫:৪৯ পিএম, ২৮ আগস্ট ২০১৭

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, স্বাস্থ্যখাতে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সঙ্গে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বিশেষ করে এই খাতে প্রতিটি অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি নির্দেশনা দেয়া আছে। তারপরও ন্যূনতম অভিযোগ পাওয়া মাত্রই তা খতিয়ে দেখে দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হয়।

তিনি আজ রাজধানীর জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিলের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে ৪র্থ জাতীয় স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচির (এনএইচপিএনএসপি) জন্য ৫১৫ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।

স্বাস্থ্য ও পুষ্টিমান উন্নয়নের গতিতে বাংলাদেশ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশের তুলনায় এগিয়ে আছে এ তথ্য জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে গত কয়েক বছরে অন্যান্য খাতের পাশাপাশি বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। আগামী ৪র্থ সেক্টর কর্মসূচির যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার অঙ্গীকার পূরণে সরকার অনেক দূর এগিয়ে যাবে।

এসময় অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেকসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বিশব্ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সরকারের কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ ৪র্থ সেক্টরের কর্মসূচি বাস্তবায়নে এইচএসএসপি এই সহায়তা করবে, যা সবার জন্য মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করবে এবং আগামী পাঁচ বছরে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে এবং আগামী ২০২২ সালের মধ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। এতে আনুমানিক ব্যয় হবে ১ হাজার ৪৮০ কোটি ডলার। বিশ্বব্যাংক এর মধ্যে ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ এবং গ্লোবাল ফাইনান্সিং ফ্যাসিলিটিস ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান প্রদান করবে।

এইচএসএসপি’র মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জনসংখ্যা খাতের সার্বিক ব্যবস্থাপনা জোরদার করা এবং বিশেষ করে কিছু নির্দিষ্ট অঞ্চলে গুরুত্ব সহকারে জরুরি এইচএনপি সেবা প্রদান।

এইচএসএসপি কর্মসূচিটি উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা ও সুষ্ঠু পরিবেশের জন্য স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত এবং মেডিকেল ও অন্যান্য সংক্রামক বর্জ্য একটি উন্নত ব্যবস্থাপনায় আনার ওপর জোর দেবে। এই কর্মসূচির আওতায়, বিভিন্ন তেজষ্ক্রিয় ও সংক্রামক বর্জ্য মাটিতে পুঁতে ফেলা এবং মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার (এমডব্লিউএম) জন্য উপজেলাগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের দায়িত্ব দেয়া হবে। এইচএসএসপি কর্মসূচির আওতায় এমডব্লিউএম পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত সব কর্মীর পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার বিষয়ে যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।

এমইউ/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।