স্বাস্থ্যখাতে বিশ্বব্যাংকের ৪ হাজার কোটি টাকা, চুক্তি সই

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৫৪ পিএম, ২৮ আগস্ট ২০১৭

অপুষ্টি দূরীকরণ ও স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে ৪ হাজার ১২০ কোটি টাকার ঋণ সহায়তা দিচ্ছে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা বিশ্বব্যাংক। এ অর্থ দিয়ে স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি খাত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দেশের জনস্বাস্থ্য ও পুষ্টি উন্নয়ন হবে। বিশেষ করে নতুন মেয়াদে সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের আট লাখের বেশি মায়ের স্বাস্থ্য সেবা এবং ৫০ লাখ শিশুকে টিকা দেয়া হবে।

সোমবার শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) মধ্যে দুটি চুক্তি হয়েছে। ইআরডি সচিব কাজী শফিকুল আযম এবং বিশ্বব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধি চিমিয়াও ফ্যান চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান উপস্থিত ছিলেন।

ঋণ চুক্তি অনুসারে, মোট ৫১ কোটি ৫০ লাখ ডলারের মধ্যে ৫০ কোটি ডলার দিচ্ছে নমনীয় ঋণ হিসেবে; আর ১ কোটি ৫০ লাখ ডলার থাকবে অনুদান। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি খাত কার্যক্রমের (এইচপিএনএসপি) চতুর্থ পর্যায় বাস্তবায়নের জন্য এ সহায়তা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। মাত্র ০.৭৫ শতাংশ সুদে ছয় বছরের রেয়াতকালসহ ৩৮ বছরে এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে। এইচপিএনএস কর্মসূচির মাধ্যমে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের অধীনে ২৯টি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ কর্মসূচির চলমান চতুর্থ পর্যায়ের কার্যক্রম ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে শুরু হয়েছে, যা শেষ হওয়ার কথা রয়েছে ২০২২ সালের জুনে।

এ কর্মসূচিটি মোট ১ হাজার ৪৭০ কোটি ডলার ব্যয়ের প্রাক্কলন নিয়ে বাস্তবায়ন শুরু করা হয়েছে। এরমধ্যে বিশ্বব্যাংক ৫১ কোটি ৫০ লাখ ডলারের ঋণ ও অনুদান সহায়তা দিল। বাকি অর্থ সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে দেয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি খাত কার্যক্রমের এ পর্বে দেশের জনস্বাস্থ্য ও পুষ্টি উন্নয়নে বিশেষ করে নতুন মেয়াদে সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের আট লাখের বেশি মায়ের স্বাস্থ্য সেবা এবং ৫০ লাখ শিশুকে টিকা দেয়া হবে।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক আমাদের একটি বলিষ্ঠ সহযোগী প্রতিষ্ঠান। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই আমাদের মন্ত্রণালয় অত্যন্ত জবাবদিহিতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিটি পাই-পয়সা অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে ব্যয় করে থাকি। তারপরও যেকোনো অভিযোগ আসলে আমরা সেটা অবশ্যই গ্রহণ করি এবং সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিই।’

স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বিগত ১০ বছরে বাংলাদেশে স্বাস্থ্যখাতের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন হয়েছে। গত ৫ বছরে স্বাস্থ্য খাতে ৫০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ হয়েছে। নতুন এ অর্থায়নও মানসম্পন্ন উপায়ে বাস্তবায়ন হবে বলে আমার বিশ্বাস।

অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি চিমিয়াও ফ্যান বলেন, স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়ন হচ্ছে বলেই বাংলাদেশের গড় আয়ু বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমি মনে করি শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগই একটা জাতির শ্রেষ্ঠ বিনিয়োগ। অতীতের মতো ভবিষ্যতেও বিশ্বব্যাংক এ দেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে অবদান রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।

এমএ/ওআর/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।