কর্মস্থলে চিকিৎসকদের উপস্থিতি কমেছে ৬০ ভাগ

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৭:২৩ এএম, ২৫ আগস্ট ২০১৭
ফাইল ছবি

দেশের আট বিভাগের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী মোট ৪৭০টি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কর্মস্থলে হাজিরা বর্তমানে বায়োমেট্রিক (আঙুলের ছাপ) পদ্ধতিতে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। হাজিরা পদ্ধতি বায়োমেট্রিক হওয়ার কারণে যারা কর্মস্থলে আসেন না তাদেরকে খুব সহজে চিহ্নিতকরণ করা যায়।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত জুলাই মাসে শতকরা প্রায় ৬০ ভাগ চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারী বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে হাজিরা দেননি। উপস্থিতির হার আশঙ্কাজনকভাবে কমে যাওয়ায় উদ্বেগ জানিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে স্বাস্থ্য মহাপরিচালকের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. খলিলুর রহমান ২০ আগস্ট দেয়া এক চিঠিতে চিকিৎসকদের কর্মস্থলে হাজিরা কমে যাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে উপস্থিতি নিশ্চিত করার ওপর গুরত্বারোপ করেন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, সারাদেশের চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সকল স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানে বায়োমেট্রিক মেশিনে ইলেকট্রনিক হাজিরায় চিকিৎসক ও কর্মকর্তা/কর্মচারীদের উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। পর্যবেক্ষণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ১ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত এক মাসের উপস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়।

তারা জানান, পর্যালোচনায় দেখা গেছে মে মাসের তুলনায় জুন ও জুলাই মাসে ইলেট্রনিক হাজিরা তুলনামূলকভাবে কম ও হতাশাজনক। অনুপস্থিতির কারণে চিকিৎসা সেবায় বিঘ্ন ঘটেছে।

পর্যালোচনায় প্রাপ্ত পরিসংখ্যান অনুসারে জুলাই মাসে দেশের ৮টি বিভাগে স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোতে চিকিৎসকসহ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতির হার ছিল শতকরা ৪১ দশমিক ২৫ ভাগ। এর মধ্যে বরিশালে শতকরা ৪১ দশমিক ৯২ ভাগ, চট্টগ্রামে ৩৭ দশমিক ৪০ভাগ, ঢাকায় ৪২ দশমিক ৬৭ ভাগ, খুলনায় ৪৭ দশমিক ৬১ ভাগ, ময়মনসিংহে ৩১ দশমিক ৫৩ ভাগ, রাজশাহীতে ৪০ দশমিক ৯০ ভাগ, রংপুরে ৪০ দশমিক ৩৩ ভাগ এবং সিলেটে বিভাগে ৪২ দশমিক ৯১ ভাগ। এ ৮টি বিভাগে ৪৭০টি মেশিনের মধ্যে ৫১টি মেশিন নষ্ট থাকার কথা উল্লেখ করা হয়।

এমইউ/এআরএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।