তিন মাসের আগে চিকুনগুনিয়া রোগীদের ফিজিওথেরাপির প্রয়োজন নেই

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০১:৫৯ পিএম, ৩১ জুলাই ২০১৭

চিকুনগুনিয়া আক্রান্ত রোগীদের তিন মাসের আগে ফিজিওথেরাপি নেয়ার প্রয়োজন নেই। চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার পরে জ্বর থাকা পর্যন্ত ব্যথা প্রশমনে ফিজিওথেরাপি দেয়া যাবে না। প্যারাসিটামল ট্যাবলেট ও বরফ বা অন্য কোনোভাবে ঠান্ডা সেঁক দিয়ে ব্যথা কমাতে হবে। এ সময় ফিজিওথেরাপি প্রয়োগ চিকুনগুনিয়া রোগীর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

শনিবার মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের ফিজিওথেরাপি দেয়া বিষয়ে চিকিৎসা নীতিমালা আলোচনার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের এক সভায় এ অভিমত ব্যক্ত করা হয়।

সভায় মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, রিউম্যাটলজি বিশেষজ্ঞ, ফিজিক্যাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ ও রোগতত্ত্ববিদরা অংশ নেন। বিশেষজ্ঞদের চিকুনগুনিয়া সম্পর্কে এ পর্যবেক্ষণ জাতীয় কমিটির সভায় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুসমর্থিত হয়।

আজ (সোমবার) আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জ্বর কমার পরে তিন মাস পর্যন্ত ব্যথা প্রশমনের জন্য রোগী চিকিৎসকের পরামর্শে ঘরে বসেই আক্রান্ত গিরা হালকা নাড়াচাড়া করা বা হালকা ব্যায়াম করে উপকৃত হবেন। এ পর্যায়ে আনুষ্ঠানিক ফিজিওথেরাপি প্রয়োগের কোনো প্রয়োজন নেই।

চিকুনগুনিয়া রোগীর যদি তিন মাস পরও ব্যথা না কমে, তাহলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে প্রয়োজনীয় ফিজিওথেরাপি দেয়া যেতে পারে। সরকারি হাসপাতালে ব্যথা কমানোর পরামর্শ প্রদানের জন্য স্থাপিত আর্থ্রালজিয়া ক্লিনিকে মেডিসিন বিশেষজ্ঞরা ফিজিক্যাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও ফিজিওথেরাপিস্টদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে রোগীর অবস্থার ভিত্তিতে ফিজিওথেরাপির ব্যবস্থাপত্র দেবেন।

এ ব্যবস্থার বাইরে চিকুনগুনিয়া রোগীদের চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া সরাসরি ফিজিওথেরাপি না নেয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে যেকোনো পরামর্শের জন্য চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণ কক্ষের হটলাইনে ও স্বাস্থ্য বাতায়নে (১৬২৬৩) রোগীরা যোগাযোগ করতে পারবেন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

এমইউ/এসএইচএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।