চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে এনজিওদের সহযোগীর ভূমিকা পালনের আহ্বান
যেসব ভবনের ছাদে গাছপালা লাগানো হয় সেখানকার প্রায় ৭০শতাংশ স্থানেই জমে থাকা পানিতে এডিস মশার বংশ বিস্তার ঘটছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সচেতন করে তোলার ক্ষেত্রে এনজিওদের সম্পৃক্ত হয়ে সহযোগীর ভুমিকা পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে।
বুধবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নগর ভবনের সেমিনার কক্ষে চিকুনগুনিয়া রোগ প্রতিরোধে এক মতবিনিময় সভায় এ আহ্বান জানানো হয়। সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিল্লাল এর সভাপতিত্বে সংস্থার বস্তি উন্নয়ন বিভাগের উদ্যোগে মাঠ পর্যায়ে কর্মরত বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
নির্মাণাধীন ভবনের চৌবাচ্চা, পরিত্যক্ত ভবন, গাছের কোটরে, এসি, ফ্রিজ, ফুলের টব, টায়ার, খালি ক্যান, ডাবের খোসায় জমে থাকা পানিতে এ মশা জন্মায়। এগুলো অপসারণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি গিয়ে চিকুনগুনিয়া রোগ প্রতিরোধে সচেতনমূলক লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে বলে জানানো হয়। ডিএসসিসি প্রতিটি ওয়ার্ডে ডেঙ্গু বিষয়ক র্যা লি, ভিডিও চিত্র প্রদর্শনসহ পর্যায়ক্রমে সব স্কুলে এ বিষয়ে মতবিনিময় সভা আয়োজন করে যাচ্ছে।
চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণু বাহক এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং চিকুনগুনিয়া রোগ প্রতিরোধে এনজিওদের সঙ্গে মতবিনিময়ে কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগ্রেডিয়ার জে. শেখ সালাউদ্দিন, প্রধান বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা আবু তালেব মো. মোয়াজ্জেম হোসেনসহ ১৯টি এনজিওর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া আজ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন এলাকায় সচেতনমূলক চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে মতবিনিময় সভা ও র্যা লি অনুষ্ঠিত হয়।
এএস/ওআর/আরআইপি