চিকিৎসকদের আত্মকেন্দ্রিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে


প্রকাশিত: ০১:৩৬ পিএম, ০৩ জুলাই ২০১৭

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান বলেছেন, চিকিৎসকদের আত্মকেন্দ্রিকতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন সম্প্রীতির পরিবেশ তৈরির উপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।

তিনি বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ডিওলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আবু সিদ্দিক ও কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আফতাব উদ্দিন ছিলেন সদালাপী, হাস্যোজ্জ্বল, গুণী চিকিৎসক ও অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব। তারা সমগ্র জীবনে যতটুকু সুযোগ পেয়েছেন অক্লান্ত পরিশ্রম করে কাজের মাধ্যমে তার যথাযথ ব্যবহার করে গেছেন। তারা সব মানুষকে সম্মান দিতেন এবং সকলের সঙ্গেই তাদের ছিল সখ্যতা। অনুসরণীয়, অনুকরণীয় এ দুই গুণী চিকিৎসক ও শিক্ষক-এর কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে চিকিৎসকদেরকে আত্মকেন্দ্রিকতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।

সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলন হলে কার্ডিওলজি বিভাগের উদ্যোগে মরহুম অধ্যাপক ডা. মো. আবু সিদ্দিক ও মরহুম অধ্যাপক ডা. মো. আফতাব উদ্দিন-এর স্মরণে আয়োজিত শোক সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ডিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সজল কৃষ্ণ ব্যানার্জীর সভাপতিত্বে ও সহকারী অধ্যাপক ডা. আরিফুল ইসলাম জোয়ারদার টিটুর সঞ্চালনায় শোক সভায় আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা বয়োজ্যষ্ঠ শিক্ষক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আব্দুল মালেক, প্রোভিসি (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার, প্রোভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, সার্জারি অনুষদের ডীন অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া, বেসিক সায়েন্স ও প্যারা ক্লিনিক্যাল সায়েন্স অনুষদের ডীন অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান, কার্ডিওলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. কেএমএইচএস সিরাজুল হক, কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. অসিত বরণ অধিকারীসহ অনেকে।

অন্যান্য বক্তারা বলেন, বহুমাত্রিক গুণের অধিকারী অধ্যাপক ডা. মো. আবু সিদ্দিক চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি সাহিত্য চর্চায় ছিলেন সমান পারদর্শী এবং অধ্যাপক ডা. মো. আফতাব উদ্দিন ছিলেন হাসিখুশি মনের মানুষ। এই দুই গুণী চিকিৎসক দেশের কার্ডিওলজি ও কার্ডিয়াক সার্জারির চিকিৎসার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন। ভালো মানুষ হিসেবেও তারা ছিলেন অতুলনীয়। সহজেই সব মানুষকে আপন করে নেয়ার এক অসাধারণ গুণাবলী তাদের জীবনকে আলোকিত করে রেখেছে।

বক্তারা কর্মজীবনে এই দুই গুণী চিকিৎসক ও শিক্ষক-এর সুন্দর গুণাবলী অনুসরণ করে জীবনকে আলোকিত করার আহ্বান জানান।

এমইউ/এআরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।