ডায়রিয়ায় শিশুমৃত্যু কমেছে এক-তৃতীয়াংশ


প্রকাশিত: ০৫:৪৮ এএম, ০২ জুন ২০১৭

গবেষকরা বলছেন, ২০০৫ এর তুলনায় ২০১৫ সালে ডায়রিয়ার কারণে বিশ্বব্যাপী শিশু মৃত্যুহার এক-তৃতীয়াংশ কমছে। বিবিসি।

ল্যানসেটের গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন ও বিশুদ্ধ খাবার পানি প্রাপ্তির কারণে এ হার কমেছে। তবে এখনও দুর্বল ও অপুষ্টিতে ভোগা শিশুরা ডায়রিয়াতে আক্রান্ত হচ্ছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ ছাড়া পরিস্থিতির উন্নয়নে নতুন প্রতিষেধকের অবদান রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

তবে এরপরও বিশ্বব্যাপী শিশুমৃত্যুর জন্য ডায়রিয়ার চতুর্থ বড় কারণ। ৫ বছর বয়সের আগেই প্রতিবছর ৫ লাখ শিশুর মৃত্যু হয় ডায়রিয়ার কারণে।

তবে ধারণা করা হয় প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে অনেক বেশি হবে। কারণ, যেখানে ডায়রিয়ার প্রকোপ সবেচেয় বেশি হয়, সেই সাব সাহার অঞ্চলের উপাত্তের ঘাটতি রয়েছে।

নিউমোনিয়া বা হামের কারণে মৃত্যুর জন্যও ডায়রিয়াকে পরোক্ষভাবে দায়ী করা হয়।

নিউ গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিজ থেকে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে গবেষণা করে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা বলছেন, ডায়রিয়ার কারণে মোট যে মৃত্যু হয়েছে তার এক-তৃতীয়াংশের বেশিই হয়েছে নাইজেরিয়া এবং ভারতে।

মলমিশ্রিত পানির কারণে রোটাভাইরাস এবং কলেরার মতো রোগগুলো ছড়ায়। এসব রোগ প্রতিরোধযোগ্য এবং এর চিকিৎসাও রয়েছে।

গবেষকরা বলছেন, ডায়রিয়ার কারণে মৃত্যুহার ২০ শতাংশের বেশি কমলেও এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার হার কমছে ধীরগতিতে। শিশুদের মধ্যে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুহার কমেছে ৩৪ শতাংশ। ২০০৫ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত সময়ে এ হার কমেছে ১০ শতাংশের কিছু বেশি।

ডায়রিয়াজনিত রোগগুলোর মধ্যে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য রোটাভাইরাসই সবচেয়ে বিপজ্জনক। তবে ২০১৫ সালে এ রোগে মৃত্যুহার ৪৪ শতাংশ কমেছে।

গবেষকরা এর কৃতিত্ব নতুন টিকাকেই দিচ্ছেন।

যেভাবে ডায়রিয়া প্রতিরোধ করা সম্ভব

• বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে।
• উন্নত পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা।
• সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
• জন্মের পর প্রথম ছয় মাস শিশুকে বুকের দুধ পান করাতে হবে।
• নিজে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে এবং পরিষ্কার খাবার খেতে হবে।
• কিভাবে রোগ ছড়ায় তা সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে।
• রোটাভাইরাসের প্রতিষেধক নিতে হবে।

এনএফ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।