রাজনৈতিক সদিচ্ছায় অনেক সংক্রামক রোগ নির্মূল হয়েছে
বর্তমান সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছার কারণেই বাংলাদেশ থেকে অনেক সংক্রামক রোগ নির্মূল হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ৭০তম সম্মেলনের প্ল্যানারি অধিবেশনের বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন। বুধবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা পরীক্ষিৎ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
নাসিম বলেন, ‘শিশু মৃত্যুহার কমানোর সাফল্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে বিশেষ পুরস্কার তুলে দিয়েছে জাতিসংঘ। দেশের প্রায় শতভাগ শিশুকে টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে। জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশাপাশি গ্রাম পর্যায়ে প্রায় ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় যে মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে সরকার সক্ষম হয়েছে তা অনেক দেশের জন্য আজ উদাহরণ।’
২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের লক্ষ্যে স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে সহায়তা বাড়ানোর জন্য বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এমডিজি অর্জনে বাংলাদেশের সাফল্য আজ বিশ্বব্যাপী দৃষ্টান্ত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এসডিজি অর্জনেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অঙ্গীকারাবদ্ধ এবং সেই লক্ষ্যে নানামুখী পদক্ষেপ হাতে নেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যখাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় অন্য দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশ যৌথভাবে কাজ করবে।
মানুষের পুষ্টিমান উন্নয়নকে এসডিজি অর্জনের অন্যতম নিয়ামক হিসেবে উল্লেখ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অগ্রাধিকার তালিকায় পুষ্টিকে প্রাধান্য দিয়ে এ খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভেরোনিকা স্কোভর্তসোভা অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। সম্মেলনে ১৯০টিরও বেশি দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন। সংস্থার মহাপরিচালক মার্গারেট চ্যান গত ২২ মে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ৭০তম অধিবেশনে যোগ দিতে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিতে গত ২০ মে জেনেভা যান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। প্রতিনিধি দলে অন্যদের মধ্যে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব সিরাজুল হক খান, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রোখসানা কাদের, বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের (বিএমআরসি) সভাপতি অধ্যাপক সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, বিএসএমএমইউ’র উপ-উপাচার্য অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ব্রেস্ট ফিডিং ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. এস কে রায়, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের চেয়ারম্যান ডা. দিলীপ কুমার রায় রয়েছেন।
এমইউ/জেডএ/ওআর/পিআর