কিডনি প্রতিস্থাপন আইনের খসড়া যাচ্ছে মন্ত্রিসভায়


প্রকাশিত: ১১:০২ এএম, ০৭ মে ২০১৭

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহম্মাদ নাসিম বলেছেন,  ‘মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকেই চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে কিডনি প্রতিস্থাপন আইনটি দ্রুত প্রণয়ন করার দাবি আসছিল। এ প্রেক্ষিতে জানাতে চাই আগামীকাল (৮ মে) আইনটি নিয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে একটি বৈঠক করা হবে, পরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে আইনটির খসড়া মন্ত্রিসভায় পাঠানো হবে। আশা করা যায় আইনটি চূড়ান্ত অনুমোদন পাবে।

রোববার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সেমিনারে নাসিম এসব কথা বলেন। ‘তৃতীয় ন্যাশনাল কনভেনশন অ্যান্ড সাইনটিফিক সেমিনার অন ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে সোসাইটি অফ অর্গান ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন বাংলাদেশ।

মন্ত্রী বলেন, অনেক ক্ষেত্রেই আমারা রোগীদের বর্তমানে দেশে রেখে চিকিৎসা দিতে পারছি। এক সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হলে দেশের বাইরে যেতো মানুষ, কিন্তু এখন দেশেই এর সুচিকিৎসা হচ্ছে।

চিকিৎসক সংগঠনগুলোর নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের চিকিৎসকরা যেন শুধু শহরমুখী নয়, গ্রামে থেকে সেসব মানুষদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করে সে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখুন। সম্প্রতি বিসিএসে নিয়োগ পাওয়া তরুণ ৫০০ চিকিৎসককে গ্রামে পোস্টিং দিয়েছি। এর আগেও বিভিন্ন সময় ৬ হাজার চিকিৎসককে গ্রামে পোস্টিং দেয়া হয়েছিল। দুঃখের কথা তারা গ্রামে থাকতে চান না। চিকিৎসকদের মনে রাখতে হবে আমাদের দেশে বিশাল জনগোষ্ঠি গ্রামেই বসবাস করে। আর সেকারণে চিকিৎসকদের কমপক্ষে দুইবছর গ্রামে থেকে চিকিৎসা সেবা দিতে হবে।

নাসিম বলেন, ঢাকায় যতগুলো মেডিকেল কলেজ আছে সেগুলো আর কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকবে না। বিএসএমএমইউয়ের আওতায় নিয়ে আসার কাজ চলছে। এছাড়া চট্টগ্রাম ও রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় ওইসব এলাকার মেডিকেল কলেজগুলোকে নিয়ে আসা হবে। অন্যদিকে সিলেটে একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপননের পরিকল্পনা আমাদের আছে।

সেমিনারে বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য কামরুল হাসান খান বলেন, আামাদের দেশে কিডনি রোগীদের সুচিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা। ইতোমধ্যে তারা দুই হাজার কিডনি প্রতিস্থাপনের কাজ সম্পন্ন করেছেন। এর মধ্যে বিএসএমএমইউয়ে ৫২০টি কিডনি প্রতিস্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের নানা বিশ্লেষণ আলাপ-আলোচনা হয়েছে। প্রতিস্থাপনের বিষয়টিকে কীভাবে আরও এগিয়ে নেয়া যায় সে বিষয়েও আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করব।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে যে উন্নত চিকিৎসা চলছে তা অনেকেই জানেন না। কিছু রোগ ছাড়া সব রোগের সুচিকিৎসা এখন দেশেই সম্ভব।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন-অর-রশিদের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন  বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ইকবাল আর্সেনাল, মহাসচিব এম এ আজিজ প্রমুখ।

এএস/জেডএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।