১ দশমিক ২ শতাংশ লোক গুরুতর কানের সমস্যায় আক্রান্ত


প্রকাশিত: ০৮:৪৭ এএম, ১২ মার্চ ২০১৭

দেশের ১ দশমিক ২ শতাংশ লোক গুরুতর কানের সমস্যায় আক্রান্ত। একই সঙ্গে দেশের ৩০ শতাংশ মানুষ নাক, কান ও গলার সমস্যায় ভোগেন। কিন্তু সে তুলনায় চিকিৎসা সুবিধা কম। দেশে গবেষক ও টেকনোলজির প্রচুর ঘাটতি রয়েছে।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইএনটি অ্যান্ড হেড-নেক ক্যান্সার হাসপাতাল ও ইন্সটিটিউট আয়োজিত এক কর্মশালায় বক্তারা এসব তথ্য জানান।

রোববার এই হাসপাতাল ও ইন্সটিটিউটে সার্জিক্যাল স্কিল ল্যাবের উদ্বোধন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। বিশেষ অতিথি ছিলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আবদুল মুহিদ চৌধুরী।

বিশিষ্ট চিকিৎসক প্রয়াত প্রফেসর এম আলাউদ্দিনের নামে এই ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। উদ্বোধনের পর হসপিটালের অডিটরিয়ামে এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এই কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন খ্যাত সম্পন্ন ইউএনটি চিকিৎসক ও ভারতের চেন্নাইয়ের ইএনটি ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রফেসর মোহন কামেশ্বরান।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইএনটি অ্যান্ড হেড-নেক ক্যান্সার ফাউন্ডেশনের মহাসচিব প্রফেসর ড. জাহানারা আলাউদ্দিন।

প্রফেসর মোহন কামেশ্বরান বলেন, বাংলাদেশে নাক-কান গলার রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। দিন দিন এ সমস্যা ক্রমেই বাড়ছে। কিন্তু সে তুলনায় চিকিৎসকের সংখ্যা কম। একেই সঙ্গে প্রযুক্তির দিক থেকেও পিছিয়ে আছে, ফলে পর্যাপ্ত গবেষণাও হচ্ছে না। এজন্য বিনিয়োগ বাড়ানো দরকার।

বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইএনটি বিভাগের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান তরফদার বলেন, দেশের ১ দশমিক ২ শতাংশ লোক গুরুতর কানের সমস্যায় আক্রান্ত। একই সঙ্গে দেশের ৩০ শতাংশ মানুষ নাক, কান ও গলার সমস্যায় ভোগেন। কিন্তু সে তুলনায় চিকিৎসা সুবিধা কম।  

সমাপনী বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ছোট উদ্যোগেও সমাজের বড় উপকার করা সম্ভব। এই নাক-কান গলা হাসপাতাল তার একটা উদাহরণ। উদ্যোগটা ভালো, প্রতিষ্ঠানটি যথেষ্ট সাফল্যে অর্জন করেছে।  

এমএ/এনএফ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।