হাসপাতালের গেটেই ‘পেটের পীড়ার সেন্টার’


প্রকাশিত: ০৮:০৫ এএম, ০৯ মার্চ ২০১৭

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ফটকের বিপরীত দিকের ফুটপাতের হোটেলে অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ভাত, মাছ, মাংসসহ বিভিন্ন ধরনের খাবার বিক্রি হচ্ছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি), থানা পুলিশ ও ঢামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নাকের ডগায় অবৈধভাবে গজিয়ে ওঠা এসব হোটেলে কোনো খাবারই ঢেকে রাখার বালাই নেই। সকাল থেকে রাত অবধি সব ধরনের খাবার ঢাকনাবিহীন অবস্থায় বিক্রি হচ্ছে। এ যেন হাসপাতালের গেটেই ‘পেটের পীড়ার সেন্টার’।
 
চিকিৎসকরা বলছেন, দূষিত খাবার ও পানি ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন ধরনের পেটের পীড়ার জন্য দায়ী। এ ধরনের খোলামেলা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রান্না করা খাবার খেয়ে মানুষের অসুস্থ হওয়ার তীব্র ঝুঁকি রয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢামেকের আশপাশে বাঁশের খুটি ও উপরে পলিথিন দিয়ে ফুটপাত দখল করে একাধিক খাবার হোটেল গজিয়ে ওঠেছে। কাস্টমারদের জন্য বেঞ্চ পেতে বসার জায়গাও করা হয়েছে। প্রতিদিন সকালে পরোটা, ডিমভাজি, সবজি ভাজি ও দুপুরে ভাত, মাছ, মাংস, ডিম, ভর্তা ও ডাল বিক্রি হয়।

hutel

ব্যস্ততম এ সড়কটিতে অ্যাম্বুলেন্স, প্রাইভেট কার, ট্রাক ও মোটরসাইকেল অবাধে চলায় রাস্তা থেকে ধুলাবালি উড়ে খাবারের ওপর পড়ছে। শুধু তাই নয়, ময়লা স্যাতস্যাতে ড্রামের পানি ঢেলে ক্রেতাদের খাওয়ানো হচ্ছে।

হোটেলগুলোতে রোগী ও তাদের স্বজন এবং নিম্ন আয়ের লোকজনের ভিড় লেগে রয়েছে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে প্রবেশের গেটের পাশে হাসপাতালের একটি নিজস্ব ক্যান্টিন রয়েছে। ওই হোটেলে খাবারের দাম বেশি হওয়ায় গ্রামগঞ্জ থেকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজনরা অপেক্ষাকৃত কম দামে এ হোটেলগুলো থেকে খাবার কিনে খাচ্ছেন।

এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে একজন ক্রেতা বলেন, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার খেলে পেটের পীড়া হতে পারে জেনেও একটু সস্তা দাম হওয়ায় এখানে খাই।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন হোটেল মালিক বলেন, ফুটপাতের হোটেলে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে খাবার খোলমেলা অর্থাৎ দৃশ্যমান হতে হয়। বড় হোটেলের মতো খাবার ঢেকে রাখলে কাস্টমার না দেখতে পেয়ে অন্য হোটেলে চলে যায়।

এমইউ/জেডএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।