মেডিকেলের শীর্ষ দশ : সেরাদের সেরা রিজভী


প্রকাশিত: ১১:১৩ এএম, ১৩ অক্টোবর ২০১৬

মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় ৮৬ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থীর মধ্যে মেধাতালিকায় শীর্ষস্থান দখল করেছেন রিজভী তৌহিদ শুভ। তার রোল নম্বর ৩০০০২১৪। জেলা কোটা ৪২। তিনি নৈর্ব্যক্তিক পদ্ধতির ১০০ নম্বরের পরীক্ষার মধ্যে সর্বোচ্চ ৮৫ দশমিক ৫ নম্বর পেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) এর মেধাতালিকায় শীর্ষ স্থান অর্থাৎ প্রথম স্থান অধিকার করেছেন। শুভ কিশোরগঞ্জ মেডিকেল কলেজ থেকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, শীর্ষ মেধাবী ১৯৭ জন শিক্ষার্থী ঢামেকে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। এদের মধ্যে ১৯৩ জন মেধা কোটায় ও মাত্র চারজন মুক্তিযোদ্ধা, তাদের সন্তান ও নাতি-নাতনিদের জন্য সংরক্ষিত কোটায় সুযোগ পান।

ঢামেকের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল খান বৃহস্পতিবার দুপুরে জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে জানান, চলতি বছর শীর্ষ ১০ মেধাবী শিক্ষার্থীর মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ফারাক খুবই সামান্য। প্রথম স্থান অধিকারী শিক্ষার্থীর সাথে দশম মেধাবী শিক্ষার্থীর নম্বরের ব্যবধান মাত্র দুই দশমিক ৭৫ নম্বর। ঢামেকে শীর্ষ ১০ শিক্ষার্থীর মধ্যে পাঁচজন ছাত্র ও পাঁচজন

ছাত্রী রয়েছেন। ঢামেকে ১৯৭তম শিক্ষার্থী হিসেবে সুযোগপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীর নম্বর ৭৫ দশমিক ৭৫ বলে জানান তিনি।

জানা গেছে, ঢামেকের শীর্ষ দশে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছেন শুভ প্রসাদ মহাজন, রোল নম্বর ১৫০৩৬১০। প্রাপ্ত নম্বর ৮৫ দশমিক ২৫। তৃতীয় স্থান মরিয়ম আক্তার, রোল নম্বর ১৩০৫১১৮, প্রাপ্ত নম্বর ৮৪ দশমিক ৫০। চতুর্থ স্থান তানজিনা আক্তার লিজা, রোল নম্বর ২০০২২৬৩। প্রাপ্ত নম্বর ৮৪ দশমিক ২৫।

৫ম স্থানে ফারিয়া তাবাসসুম, রোল নম্বর ২১০২০০২। প্রাপ্ত নম্বর ৮৪ দশমিক ২৫। ষষ্ঠ স্থানে মো. নাইম মুনস রোল নম্বর ২৩০০৫৫১, প্রাপ্ত নম্বর ৮৩ দশমিক ৭৫। ৭ম স্থানে রাজিয়া আফরোজ তারিন, রোল নম্বর ১৫০০১০১, প্রাপ্ত নম্বর ৮৩ দশমিক ৫০। ৮ম স্থানে রিমি বিশ্বাস রোল নম্বর ১৮০১৭৯১, প্রাপ্ত নম্বর ৮৩।

৯ম স্থানে মো. শফিকুল ইসলাম, রোল নম্বর ২০০৪৪১৪, প্রাপ্ত নম্বর ৮৩ ও দশম স্থান দখল করেছেন মাইনুল ইসলাম, রোল নম্বর ১১০০০৪৭ ও তার প্রাপ্ত নম্বর ৮২ দশমিক ৭৫।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. আবদুর রশীদ জানান, ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে যাতে কোনো প্রকার বিতর্ক না ওঠে সেজন্য দুই গ্রুপের বিশেষজ্ঞদের দিয়ে ওএমআর শিট পরীক্ষা ও পুনঃপরীক্ষা করা হয়।

গত ৭ অক্টোবর সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজের এই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় মোট ৮৫ হাজার ২০৭ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।

এদের মধ্যে ন্যূনতম ৪০ নম্বর পেয়ে পাস করে ২৯ হাজার ১৮৩ জন। ১০০ নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্নে সর্বোচ্চ নম্বর উঠে ৮৫ দশমিক ৫। সর্বনিম্ন নম্বর মাইনাস ১৭। সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে আসন রয়েছে যথক্রমে তিন হাজার ১১২ ও ছয় হাজার ২০৫টি।

আগামী ২০ অক্টোবর থেকে সরকারি মেডিকেল কলেজে নির্বাচিতদের ভর্তি শুরু হবে। অপেক্ষমাণ তালিকায় ৬০০ জনকে রাখা হয়। আগামী বছরের প্রথম দিন অর্থাৎ ১ জানুয়ারি থেকে ক্লাস শুরুর কথা রয়েছে।

এমইউ/এসএইচএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।