দেশে প্রথমবারের মতো টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:৫৯ এএম, ১২ অক্টোবর ২০২৫
টাইফয়েডের টিকা নিচ্ছে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা, ছবি: মাহবুব আলম

দেশে প্রথমবারের মতো একযোগে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু হলো। ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী প্রায় পাঁচ কোটি শিশুকে বিনামূল্যে ইনজেকটেবল টাইফয়েড টিকা দেওয়ার লক্ষ্যে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।

সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৫ উদ্বোধন করা হয়েছে।

রোববার (১২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান এই টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

দেশে প্রথমবারের মতো টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান বলেন, টাইফয়েডের টিকাদান পৃথিবীর সবচেয়ে বড় টিকাদান কর্মসূচিগুলোর একটি। এসব বিষয় নিশ্চয়ই আপনারা শুনেছেন। বাংলাদেশ এই সাফল্যের অংশ হতে পেরেছে, যা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়।

তিনি বলেন, আপনারা (শিক্ষার্থীরা) নিজেরা টিকা নেওয়ার পাশাপাশি অন্যদেরও উৎসাহিত করতে পারেন। আমাদের বলা হয়েছে, আগামী বছর থেকে এই টিকাটি সরকারিভাবে বিনামূল্যে দেওয়া নাও হতে পারে। তবে এর অর্থ এই নয় যে, টিকাটি পাওয়া যাবে না শুধু তখন ব্যক্তিগতভাবে নিতে হতে পারে।

দেশে প্রথমবারের মতো টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু

তিনি আরও বলেন, এই টাইফয়েডের ভ্যাকসিনটি প্রায় ১০০ বছরের গবেষণার ফল। এত দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করার পর আজ আমরা কার্যকর টিকা পেয়েছি, যা মানবতার জন্য এক বিশাল অর্জন। আমি আশা করি, আপনারা সবাই দায়িত্বশীলভাবে টিকা গ্রহণ করবেন, অন্যদেরও সচেতন করবেন।

আপনারা অনেকেই ভবিষ্যতে চিকিৎসক, প্রকৌশলী, ব্যবসায়ী বা প্রশাসক হবেন। কিন্তু এর বাইরে আমাদের দরকার চিন্তাশীল মানুষ, গবেষক। কারণ আগামী পৃথিবী হবে সম্পূর্ণ প্রযুক্তিনির্ভর। আজ থেকেই আপনারা নিজেদের প্রস্তুত করুন জ্ঞান, গবেষণা ও মানবিক দায়িত্ববোধ নিয়ে এগিয়ে যান, যোগ করেন সায়েদুল হক।

আরএএস/এসএনআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।