জুলাই বিপ্লবে আহতদের চিকিৎসা দিতে ঢাকায় যুক্তরাজ্যের দুই বিশেষজ্ঞ

জুলাই বিপ্লবে আহতদের চিকিৎসা দিতে এবার ঢাকায় এসেছেন যুক্তরাজ্যের দুই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। তারা হলেন, দিশটির বিখ্যাত মরফিল্ড আই হাসপাতালের রেটিনা বিশেষজ্ঞ ডা. মাহী মুকিত ও ডা. নিয়াজ ইসলাম। এই দুই বিশেষজ্ঞ শনিবার সকাল থেকে রাজধানীর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে জুলাই বিপ্লবে আহতদের চিকিৎসা দিচ্ছেন। রোববারও চিকিৎসা দেবেন, যাদের প্রয়োজন অপারেশন করবেন।
রোগীদের দেখে অভিজ্ঞতা কী হলো জানতে চাইলে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক ডা. নিয়াজ ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, রোগীদের এক জনের এক সমস্যা। এখানকার চিকিৎসকরা ভালো চিকিৎসা দিয়েছেন। এখানে বড় সমস্যা পাচ্ছি, রোগীরা অনেক কিছু বুঝে না, বুঝতে চায় না। আমরা তাদের বিষয়গুলো কাউন্সিলিং করার চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, তার আগে একটা সমস্যা ছিল, সেটা সমাধান হয়েছে। এখন কী অবস্থায় আছে, ভবিষ্যতে কী হতে পারে? এগুলো ঠিক করে আমরা পরিকল্পনা ঠিক করছি। আমরা যার যেটা প্রয়োজন, সেই সাপোর্ট দিতে চাই। যার অপারেশন প্রয়োজন, করবো। যার নিয়মিত চিকিৎসা প্রয়োজন, করছি। তবে এটা এক দুইদিনের বিষয় নয়। দীর্ঘদিন ফলোআপের বিষয়।
এ বিষয়ে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. রেজওয়ানুর রহমান সোহেল জাগো নিউজকে বলেন, জুলাই বিপ্লবে আহত চক্ষু রোগীদের আমরা আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়েছি। আবার অনেককে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়েছি। সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসক এনেও এখানে দেখিয়েছি। আজ যুক্তরাজ্য থেকে দুজন চিকিৎসক এসে দেখছেন। আগামীকালও তারা দেখবেন। আমরা চাই, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত এসব রোগীরা সর্বোচ্চ সেবা পাক।
হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসা সমন্বয়ক ও সহকারী অধ্যাপক জাকিয়া সুলতানা নীলা জাগো নিউজকে বলেন, অনেক রোগী। তাদের নানারকম সমস্যা। আমরা চেষ্টা করেছি আমাদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করতে। এখনো চেষ্টা করে যাচ্ছি। তারই অংশ হিসেবে দুই দিনের জন্য যুক্তরাজ্যের বিখ্যাত মরফিল্ড হাসপাতাল থেকে দুজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আমরা এনেছি। এরা দুইদিন রোগীদের দেখবেন, পরামর্শ দেবেন, প্রয়োজনে অস্ত্রোপচার করবেন।
আহত মিজানুর রহমান বাদল বলেন, আমি বাম চোখে দেখি না। ডান চোখে কিছুটা দেখি। দুই চোখের আশপাশে বুলেট আছে। বিদেশি চিকিৎসকরা দেখলেন, তারা অপারেশন করবেন।
আহত ওমর ফারুক বলেন, আমার দুই চোখে ১২টা গুলি লেগেছে। ২টা বের করা গেছে। বাকিগুলো রয়ে গেছে। ডাক্তাররা বলছেন, আমার আর দৃষ্টি ফিরে পাওয়ার আশা নেই।
এসইউজে/এমআইএইচএস/জেআইএম