২৪ ঘণ্টা ১১১ মডেলকে সাজিয়ে রেকর্ড গড়লেন তরুণী

ফিচার ডেস্ক
ফিচার ডেস্ক ফিচার ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৩৯ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মেকআপ সম্পর্কে যারা কম বেশি ধারণা রাখেন তারা নিশ্চয়ই জানেন একজন ব্রাউড বা একজন মডেলকে পুরোপুরি সাজতে কতক্ষণ সময় লাগে। নিজেও যখন কোনো অনুষ্ঠানের জন্য তৈরি হতে পার্লারে বা মেকআপ আর্টিস্টের কাছে যান ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় লেগে যায়।

তবে সিয়েরা লিওনের একজন মেকআপ আর্টিস্ট মেরি ইয়ংগাই ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি মানুষকে সাজিয়ে রেকর্ড করেছেন। ২৬ বছর বয়সি মেরি ২৪ ঘণ্টায় ১১ জন মডেলকে সাজিয়েছেন। তবে এই সাজানো বলতে যেমন তেমন পুরো মেকওভার করেছেন তিনি।

এই রেকর্ডের নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিটি মেকওভারের জন্য কনসিলার, ফাউন্ডেশন, ব্লাশ বা ব্রোঞ্জার, অন্তত দুই রঙের আই শ্যাডো, আই লাইনার, মাশকারা, লিপস্টিক বা লিপ গ্লস, লিপ লাইনার, কন্টর, লুজ পাউডার ব্যবহার করতে হয়েছে।

রেকর্ডের আয়োজন করা হয়েছিল দেশটির রাজধানী ফ্রিটাউনে। সেখানে অনেক সিয়েরা লিওনিয়ান সেলিব্রিটি এবং মন্ত্রী সহ অসংখ্য সাধারণ মানুষ জড়ো হয়েছিল। ২৪ ঘণ্টায় মাত্র 20 মিনিটের বিরতি নিয়েছিলেন মেরি। এই সময়ের মধ্যে তিনি কিছুই খাননি। কোনো সময়ে বাথরুম ব্যবহার করেননি। শুধু কোমল পানীয় পান করেছেন কয়েকবার।

মেরির লক্ষ্য ছিল তিনি ১০০ অতিক্রম করবেন। এর আগে ২০০৫ সালে ৯৬টি মেকওভার করে এই রেকর্ড অর্জন করেছিলেন ইন্দোনেশিয়ার মার্থা টিলার। মেরি তার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি করেছেন।

মেরি একজন প্রফেশনবাল মেকআপ আর্টিস্ট। তবে একসঙ্গে এতো মানুষের মেকওভার তিনি আগে করেননি। বাড়িতে অনুশীলনের জন্য তার বোন এবং বন্ধুদের মডেল হিসেবে ব্যবহার করতেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও বেশি দ্রুত তিনি কাজটি করতে পারছিলেন। তিনি তারপর একটি ট্রায়াল করেছিলেন, যেখানে ৮ ঘণ্টায় ৪৮টি মেকওভার সম্পূর্ণ করতে পেরেছিলেন।

মেরি শুধু তার নিজের ব্যক্তিগত কৃতিত্বের জন্য এই চ্যালেঞ্জের চেষ্টা করেননি। অন্যদেরকে তাদের নিজস্ব আবেগ অনুসরণ করতে প্রভাবিত করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই রেকর্ড অর্জন করা একটি স্বপ্ন পূরণ। একজন তরুণী হিসেবে, লোকেরা যা অসম্ভব বলে মনে করে তা অর্জন করার চেষ্টা করছি, আমি নিজেকে নিয়ে খুব গর্বিত।’

সূত্র: গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড

কেএসকে/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।