তারুণ্যের বিকাশে অমূল্য হাতিয়ার লেখালিখি

ফিচার ডেস্ক
ফিচার ডেস্ক ফিচার ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:০৬ পিএম, ২৬ জুলাই ২০২৪

লেখালিখি কারো শখ। কারো কাছে সমাজের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করার অনন্য তাড়না। এর মাধ্যমে ব্যক্তির চিন্তাশীল ধারণার বহিঃপ্রকাশ ঘটে। লেখকের লেখনীতে উঠে আসে বিভিন্ন ঘটনা ও সমস্যা। উঠে আসে সেগুলো থেকে পরিত্রাণের যথার্থ সমাধান। এর ফলাফল সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য আশীর্বাদ। তরুণ প্রজন্মের বিকাশ ও ভাবনাতে লেখালিখির প্রভাব অনন্য। লেখালেখি শুধু পত্রিকায় প্রকাশের জন্য নয় বরং সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি হাতিয়ার হিসেবে কাজ করছে।

এমনই ধারণায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কিছু তরুণ লেখকের মনোভাব তুলে ধরেছেন জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি ফিচার, কলাম অ্যান্ড কন্টেন্ট রাইটার্সের সাংগঠনিক সম্পাদক সাফা আক্তার নোলক

আত্মার বিকাশ ও সৃজনশীলতার জন্য লেখার বিকল্প নেই

তারুণ্যের বিকাশের প্রধান মাধ্যম সংবাদপত্র। এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মের মধ্যে সহযোগিতা ও গবেষণার ফুল ফোটানোর জন্য লেখালিখির বিকল্প নেই। তরুণ সমাজকে নতুন পরিকল্পনা ও দেশকে অগ্রসর করার জন্য কলাম লিখি। তবে এ লেখালিখি বা কলাম লেখার ক্ষেত্রে থাকতে হয় উপস্থিত বুদ্ধি এবং সৃজনশীলতা। মানতে হয় নানা বিধিনিষেধ। তারুণ্যের অন্তরে যে দীপশিখা প্রজ্জ্বলিত হয়েছে, তা যুগে যুগে অম্লান রাখতে লেখালিখির বিকল্প নেই। দেশ বা জাতির এগিয়ে চলার প্রেরণা দিতে তরুণদের মেধা, মনন ও কল্যাণের অনুগামী করতে ও নেতিবাচক নীতির পথে পরিচালিত হওয়ার মহাসংকট দূর করার জন্যই লেখা। আত্মার বিকাশ কিংবা পরিশুদ্ধির জন্য সমাজ সংস্কারের মূল চালক তরুণদের উৎসাহ দিতে পত্রিকায় লেখালিখি করতে হবে। তাই ব্যক্তি, সমাজ দেশ ও জাতির কল্যাণ ও মঙ্গলের লক্ষ্যে তরুণ সমাজকে পত্রিকায় নিয়মিত লিখে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।

আবির হাসান সুজন
শিক্ষার্থী, ভূমি ব্যবস্থাপনা ও আইন বিভাগ
সাবেক সভাপতি, জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি ফিচার, কলাম অ্যান্ড কন্টেন্ট রাইটার্স।

লেখালিখি হোক মানসিক বিকাশ ও সমাজ সংস্কারের হাতিয়ার

লেখালিখি ব্যক্তির বিকাশে গভীর এবং বহুমাত্রিক প্রভাব ফেলে। এর মাধ্যমে আমরা শুধু চিন্তাভাবনা প্রকাশ করি না বরং আত্ম-আবিষ্কার, সৃজনশীলতা এবং মেধার বিকাশও সাধন করি। এটি আমাদের মননশীলতা এবং বুদ্ধিবৃত্তিক ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। যা ব্যক্তিগত এবং পেশাগত জীবনে সফলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারুণ্যের বিকাশ এবং চিন্তাধারা গঠনে এটি অপরিহার্য। লেখালিখি এমন একটি মাধ্যম, যাতে অভাবনীয় সাফল্যের দোরগোড়ায় পৌঁছানো যায়। যদি এ বীজ তারুণ্যের মধ্যে শোভা পায়, তবে তা সমাজ ও দেশের জন্য হবে অতি মঙ্গলজনক। এটি শুধু তাদের মেধাকে বিকশিত করে না বরং দেশ ও সমাজ নিয়ে ইতিবাচক চিন্তাগুলোর উৎকর্ষ সাধনেও সহায়ক হয়। তবে লেখালেখি শুধু পত্রিকায় প্রকাশের জন্য না হয়ে বরং মানুষের মনুষ্যত্ববোধের বিকাশের জন্যও হওয়া উচিত। এতে এটি সমাজ সংস্কারের একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হতে পারে। কোনো সমস্যা পত্রিকায় লেখা হলে তা দ্রুত সমাধান হয়, যা প্রশংসার দাবিদার। আত্মহত্যার প্রবণতা কমাতে লেখালিখি একটি কার্যকর মাধ্যম হতে পারে। এটি আমাদের অভ্যন্তরীণ চিন্তা এবং অনুভূতিগুলো প্রকাশ করার সুযোগ দেয়, যা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। নিজের মানসিক বিকাশ এবং সমাজের উৎকর্ষতায় লেখালিখি হোক নিয়মিত চর্চার বিষয়।

মাহমুদুল হাসান মিল্টন
শিক্ষার্থী, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ
সাবেক সাধারণ সম্পাদক, জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি ফিচার, কলাম অ্যান্ড কন্টেন্ট রাইটার্স।

ভালো লাগা থেকে লেখালিখির হাতেখড়ি

লেখালিখির শুরুটা হয় ভালো লাগা থেকে। ছোটবেলা থেকেই অনেক বই পড়তাম। বইপড়ার সাথে সাথে লিখতেও বেশ ভালো লাগতো। তখন থেকেই গল্প, কবিতা লিখতাম। কলাম, ফিচার লেখার সূচনা হয় মূলত বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে। কয়েকজন বড় ভাই-আপুর সহযোগিতায় নিয়মিত পত্রিকায় লিখতে শুরু করলাম। প্রথম প্রথম খুব আনন্দ লাগতো এটা ভেবে যে পত্রিকায় লেখা প্রকাশ হচ্ছে। সময়ের সাথে সাথে বুঝলাম লেখালেখির সার্থকতা সৃষ্টি হয় সমাজে ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি করার মাধ্যমে। আমার একটি লেখা পড়ে কয়েকজন লেখালিখি সম্পর্কে আগ্রহী হবে, সমাজের সমস্যার কথা ভাববে; তারাও সমাজের সমস্যা সমাধানের জন্য লেখালিখি করবে। এখানেই তো প্রাপ্তি। লেখালিখি করতে গেলে প্রায়ই বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয়। যেমন কোন ধরনের টপিকে লিখবো, কিভাবে লিখবো, কিভাবে মেইল করবো। সমস্যাগুলোর সমাধানও খুব সহজ। তা হলো পত্রিকার বিভিন্ন লেখা পড়া অথবা যারা দীর্ঘদিন লেখালিখি করেন তাদের সাহায্য নেওয়া। সবকিছুর মতো লেখালিখিতেও চ্যালেঞ্জ আছে। সেসব চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে লেখালিখির ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। কারণ লেখালিখির মাধ্যমে মানুষের মন কোলাহলমুক্ত হয় এবং সমাজের সমস্যাগুলো চিহ্নিত হয়।

সাদিয়া আফরিন মৌরি
শিক্ষার্থী, আইন বিভাগ
সহ সভাপতি, জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি ফিচার, কলাম অ্যান্ড কনটেন্ট রাইটার্স।

লেখা জ্ঞানের অন্বেষণ তৈরি করে

লেখা একটি সৃজনশীল এবং নান্দনিক শিল্প। যুগপরম্পরায় জ্ঞানের বিকাশ ও সংরক্ষণের মাধ্যম হয়ে এসেছে লেখালিখি। নানা গ্রন্থে তা সংরক্ষিত রয়েছে শতাব্দির পর শতাব্দি ধরে। এটি নিশ্চিতভাবে বলা যায়, অধিকাংশ মানবসমাজকে সুগঠিত করতে লেখা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। লেখা জ্ঞান-হস্তান্তরের প্রাচীন ও গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রথা বা রীতি। অনেক সময় লেখা প্রতিরোধের হাতিয়ার এবং সমাজ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। লেখার শুরুতে একটি কাঠামো তৈরি করা অতি আবশ্যক। লিখন ধীরগতির চলমান একটি প্রক্রিয়া হওয়ায় দক্ষ লেখক হতে হলে ধৈর্য, সময় ও নিষ্ঠার সঙ্গে এবং লেখার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থেকে অবিচল চর্চা চালিয়ে যাওয়া। তথ্য না জানলে ভালো লেখা তৈরি হয় না। এই সৃষ্টিশীল কর্ম দ্বারা আজও অনেকে বেঁচে আছেন মানুষের মনমন্দিরে। বেঁচে থাকবেন আরও সহস্র বছর। ভাবনা অনেকের মধ্যেই থাকে। তার প্রকাশ না ঘটলে তা অনর্থক। লেখালিখির মাধ্যমে মানুষের মনে বেঁচে থাকার চিরঞ্জীব বাসনা তৈরি করে লেখকের মনে। যাদের কাজ, চিন্তা ও মূল্যবোধ মানুষের জীবনকে গভীরভাবে স্পর্শ করে যায়, তারা শারীরিকভাবে গত হলেও মানুষের জীবন ও চেতনায় থেকে যান। লেখালিখির মাধ্যমে ন্যায়ের পথে মহান দায়িত্ব পালন করে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের সুযোগ আমরা গ্রহণ করতে পারি। পারি রেনেসাঁকে প্রস্ফুটিত করতে। ছড়িয়ে দিতে পারি চতুর্দিকে।

সাকিবুল ইসলাম
শিক্ষার্থী, সমাজকর্ম বিভাগ
দপ্তর সম্পাদক, জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি ফিচার, কলাম অ্যান্ড কন্টেন্ট রাইটার্স।

যে লিখতে জানে সে সৃষ্টি করতে জানে

মানুষের চিন্তাগুলো হয় আকাশের মেঘের মতো। কখনো পুরো আকাশটাকে ছেয়ে বৃষ্টি ঝরিয়ে সূর্যের ঝলমলে আলোতে আবার মিলিয়ে যায়। আকাশ যেমন সর্বদা মেঘকে ধরে রাখতে পারে না; তেমন মানুষও সর্বদা মনের আকাশে চিন্তার মেঘকে ধরে রাখতে পারে না। তবে যারা চিন্তাগুলোকে কলম হতে নিঃসৃত বর্ণ, শব্দ আর বাক্য দিয়ে গেঁথে ফেলতে জানেন; তারা তাদের মনের আকাশের মেঘকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। তার যখন ইচ্ছে সেই আকাশের মেঘ ঝরিয়ে ভিজতে পারেন, পারেন অন্যকে ভেজাতে। মানুষের চিন্তা সৃষ্টিশীল। সে চিন্তা দিয়ে নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করে, করে কাব্যরচনা। কখনো তার চিন্তার মেঘ থেকে হয় বজ্রপাত। সে বজ্রপাতে হয় দুষ্টের দমন, হয় শিষ্টের লালন। সে তার লেখনী দিয়ে যে অবদান রেখে যেতে পারে, তা স্মরণীয় হয়ে থাকে ইতিহাসের প্রতিটি কোণে। এমন সৃষ্টিশীল চিন্তাগুলোকে আমাদের কলমের কালিতে ধরে রাখতে হবে।

জুনায়েদ মাসুদ
শিক্ষার্থী, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট
অর্থ সম্পাদক, জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি ফিচার, কলাম অ্যান্ড কন্টেন্ট রাইটার্স।

লেখালিখি হোক সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার

লেখালিখি শুধু কয়েকটি শব্দ নয় বরং সমাজ, দেশ পরিবর্তনের বড় একটি হাতিয়ার। লেখালিখির মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন সমস্যা, সম্ভাবনা, আশা, ভাবনাকে দেশ ও বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরা সম্ভব। লেখালিখির মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত সমাজ পরিবর্তনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলা। তবে সুনাম ও খ্যাতির জন্য করা লেখালিখি কখনোই দেশ ও জাতির জন্য ভালো কিছু বয়ে আনে না। লেখালিখির মাধ্যমে যে কোনো অন্যায়ের প্রতিবাদ, গঠনমূলক সমালোচনা করা যায়। লেখালিখি কারো কাছে শখ অথবা পেশা। আমার কাছে শখ। নিজ চোখে দেখা বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার সমাধান চেয়ে অথবা প্রতিবাদী বিভিন্ন বিষয়ে লেখালিখি আমার শখ। সমাজকে বদলে দিতে লেখালিখির গুরুত্ব অপরিসীম। তাই সব প্রজন্মের মানুষকে লেখালিখির মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তনের উদ্যোগ নিতে হবে।

মাইনুল ইসলাম অমি
শিক্ষার্থী, লোকপ্রশাসন বিভাগ
কার্যনির্বাহী সদস্য, জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি ফিচার, কলাম অ্যান্ড কন্টেন্ট রাইটার্স।

তারুণ্যের মুক্ত চর্চা হোক লেখনীতে

পুরোনো ইতিকথা জানতে, সমাজ সংস্কারে, জনসচেতনতায় কিংবা জ্ঞান ভাগাভাগিতে লেখালিখি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পূর্ব অতীত বিশ্লেষণ করলে লক্ষ্যণীয়, সতীদাহ প্রথা বাতিল করতে রাজা রামমোহন রায়ের মতো সমাজ সংস্কারকও ‘প্রবর্তক ও নিবর্তকের স্বাদ’ নামক পুস্তক রচনা করেছিলেন। পরে একাধিক পুস্তক রচনার মাধ্যমে এই কুসংস্কার ‘সহমরণ প্রথা’ নিষিদ্ধ হয়। তাছাড়া গবেষণায় প্রমাণিত নিয়মিত লেখালিখিতে ব্যক্তি মনে হতাশা দূরীভূত হয় এবং চিন্তাশক্তি বৃদ্ধি পায়। পত্রিকা অথবা পুস্তকে লেখার মাধ্যমে সর্বসাধারণে সচেতনতা বৃদ্ধি পায়। ব্যক্তি মনের চিন্তা, জ্ঞান ছড়িয়ে পরে সবার মাঝে। আধুনিক সময়ের বহু আলোচিত নারী-পুরুষ সমতা, মিসোজিনি, মানসিক স্বাস্থ্য, মানবাধিকার নিয়ে চর্চা, চিন্তা সবকিছুর সমন্বয় হয় লেখালিখিতে। তাই তরুণমন বিকাশে, সমৃদ্ধ মনন চর্চায় পত্রিকা, পুস্তক কিংবা নিজের ব্যক্তিগত কিছু পৃষ্ঠায় যেখানেই হোক লেখালিখি করাটা গুরুত্বপূর্ণ।

আফরিতা মাহ জাবিন রুন অমি
শিক্ষার্থী, সমাজকর্ম বিভাগ
সদস্য, জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি ফিচার, কলাম অ্যান্ড কন্টেন্ট রাইটার্স।

মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেই সম্ভব তারুণ্যের বিকাশ

তারুণ্যের বিকাশে অমূল্য একটি হাতিয়ার হচ্ছে লেখালিখি। এটি কেবল পত্রিকায় প্রকাশের জন্য নয় বরং সমাজে ইতিবাচক নানা পরিবর্তনের অনুঘটক হিসেবেও কাজ করে। তরুণ লেখকরা তাদের চিন্তা ও অনুভূতি প্রকাশের মাধ্যমে সামাজিক অসমতা, বৈষম্য ও বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোকপাত করতে পারেন, যা সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধি ও নানা পরিবর্তন আনয়নে সহায়ক। তবে লেখালিখির পথে অনেকেই নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। কোনো সমস্যার বিরুদ্ধে তারা চাইলেও মতামত প্রকাশ করতে পারেন না। কারণ আমাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা মুখে মুখে দেওয়া হলেও সত্যিকার অর্থে সেই স্বাধীনতা আমাদের নেই। তাই সৃষ্টিশীলতাকে উৎসাহিত করতে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। তবেই লেখালিখি তরুণদের বিকাশ ও সমাজের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

সোহানা চৌধুরী
শিক্ষার্থী, দর্শন বিভাগ
সদস্য, জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি ফিচার, কলাম অ্যান্ড কন্টেন্ট রাইটার্স।

এসইউ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।