বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মানুষ তিনি

ফিচার ডেস্ক
ফিচার ডেস্ক ফিচার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৪৭ এএম, ১৮ মার্চ ২০২৪

নাম ‘খান বাবা’। ২৫ বছর বয়সী পাকিস্তানের এই নাগরিকের ওজন ৪৩৫ কেজি। নিজেকে দাবি করেন বিশ্বের পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী মানুষ বলে। তার আসল নাম আরবাব খিজির হায়াত। তবে ‘খান বাবা’ নামেই তিনি বেশি পরিচিত।

পাকিস্তানের মারদান প্রদেশে আরবাব খিজির হায়াত। তিনি এক হাতে যে কোনো মানুষকে ওপরে তুল ফেলতে পারেন, হাত দিয়ে গাড়ি টেনে নিয়ে যেতে পারেন বহুদূর এবং খালি হাতে ট্রাক্টর থামাতে পারেন। তাকে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মানুষ বলছেন অনেকেই। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ভাইরাল তিনি। ইনস্টাগ্রামে তিনি তার শক্তির নানান পরীক্ষার ভিডিও পোস্ট করেন। যা লাখ লাখ মানুষ দেখছেন প্রতিনিয়ত।

ছয় ফুটের বেশি লম্বা আরবাব খিজির। উচ্চতা এবং শরীরের ওজনের কারণে এরইমধ্যে পাকিস্তানের জাহাজ উপাধি পেয়েছেন তিনি। বিভিন্ন মানুষ তার সঙ্গে সেলফিও তুলছেন। হায়াত গণমাধ্যমকে জানান, অতিরিক্ত ওজনের কারণে তিনি কোনো স্বাস্থ্যবীমা করতে পারেননি। তার স্বপ্ন তিনি একজন ভার উত্তোলক হবেন। যদিও পাকিস্তানে ভারোত্তোলন খেলার কোনো সুযোগ নেই। তারপরও আশা ছাড়ছেন না তিনি। স্বপ্ন দেখেন একদিন নজির গড়বেন তিনি।

আরও পড়ুন

তিনি আরও বলেন, ‘ভারোত্তোলনের পাশাপাশি আমার লক্ষ্য ডব্লিউডব্লিউই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া। এজন্য আমার লক্ষ্য আরও ওজন বৃদ্ধি করা এবং সেজন্য আমি নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ নিচ্ছি।’

খিজির হায়াতের দাবি, তিনি জাপানিজ চ্যাম্পিয়নশিপে ৪ হাজার ৫৩৫ কেজি পর্যন্ত ভারোত্তোলন করেছেন। দড়ি দিয়ে ট্রাক্টর টেনে নিয়ে যান হায়াত। তিনি এক হাতে একজন মানুষ এবং ১০ হাজার পাউন্ড পর্যন্ত ওজন অবলীলায় তুলতে পারেন। ‘খান বাবার’ দাবি, তিনিই বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মানুষ।

‘খান বাবা’ প্রতিদিন সকালে ৩৬টি ডিম খান। দৈনিক খাবারের তালিকায় থাকে তিন কেজি মাংস ও পাঁচ লিটার দুধ, যা তার শরীরে দৈনিক ১০ হাজার ক্যালোরি শক্তি উৎপাদন করে। শক্তিশালী এই মানুষটি এখন পাকিস্তানের ‘মিনি স্টার’। রোজই তাকে দেখতে ভিড় করেন শতাধিক মানুষ। সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে আরও বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন তিনি।

আরও পড়ুন

সূত্র: অডিটি সেন্ট্রাল

কেএসকে/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।