রহস্যময় যে প্রাচীর নির্মাণ করতে গিয়ে মৃত্যু হয় ৪ লাখ মানুষের
বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু প্রাচীর সম্পর্কে কমবেশি সবারই ধারণা আছে। এর পোশাকি নাম, ‘দ্য গ্রেট ওয়াল অব চায়না’ বা চিনের প্রাচীর। এটি পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্যের মধ্যে অন্যতম।
বলা হয় যে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই প্রাচীর এতটাই চওড়া যে তার উপর দিয়ে ঘোড়সওয়ার বা সেনাবাহিনী টহল দিতে পারে। চিনের এই প্রাচীরের প্রধান আকর্ষণ এর কৌশলগত আকার। চলুন আজ তাহলে এই আশ্চর্য সম্পর্কে কিছু মজার কথা জেনে নিই-
আরও পড়ুন: আজও রহস্যে ঘেরা গিজার পিরামিড
এই প্রাচীরের দৈর্ঘ্য ৬৩০০ কিলোমিটার, মানুষের তৈরি বিশ্বের বৃহত্তম কাঠামোর মধ্যে এটিকে গণনা করা হয়। চিনের এই মহাপ্রাচীর প্রায় ২ হাজার ৩০০ বছরেরও বেশি পুরোনো। এর নির্মাণকাল খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দী থেকে ১৬ শতক পর্যন্ত।
এটি এমন একটি মানবসৃষ্ট কাঠামো, যা নাকি মহাকাশ থেকেও দেখতে পাওয়া যায়। আশ্চর্যের বিষয় হলো, প্রাচীর নির্মাণের সময় পাথরের সঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছিল চালের গুঁড়া। এ কারণেই প্রাচীরটি নাকি এতোটাই শক্ত যে তা ভেঙে ফেলা কঠিন।
আরও পড়ুন: প্রেমিকার হাত ধরে রাস্তায় হাঁটলেই শাস্তি হয় যে দেশে
এই প্রাচীর সম্পর্কি বিভিন্ন তথ্যের মধ্যে অবাক করা আরও একটি বিষয় হলো, এই প্রাচীর নির্মাণের সময় প্রায় ৪ লাখ মানুষ মারা গিয়েছিল।
কথিত আছে, প্রাচীর নির্মাণের কাজে যেসব শ্রমিকরা পরিশ্রম করতে চাইতেন না, তাদেরকে নাকি এই দেওয়ালে চাপা দেওয়া হয়েছিল।
জানা যায়, উত্তর দিক থেকে শত্রু আক্রমণ রক্ষা করার উদ্দেশ্যে এই প্রাচীর নির্মাণ করেছিলেন চিনা সম্রাটরা। প্রাচীর নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল চিনা সম্রাট কিন শি হুয়াংয়ের।
এটি তৈরি করতে প্রায় ২ হাজার বছর সময় লেগেছিল। তাই কোনো একজন সম্রাট নন, এই প্রাচীর নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা আছে চিনের একাধিক সম্রাটের।
আরও পড়ুন: সিনেমাপ্রেমীদের গোলকধাঁধা রামোজি ফিল্ম সিটি
এই প্রাচীরের সর্বোচ্চ উচ্চতা ৩৫ ফিট। এই সম্পূর্ণ ৩৪০০ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রাচীরের মধ্যে রয়েছে বিকন টাওয়ার, সিঁড়ি ও অনেকগুলি সেতু।
এই প্রাচীরের প্রস্থ এতটাই বেশি যে, ৫ জন ঘোড়সওয়ার বা ১০ পদাতিক সৈন্য একসঙ্গে এখানে টহল দিতে পারে। প্রাচীরের প্রস্থে অনায়াসে গাড়ি চালিয়ে যাওয়া যায়।
সূত্র: মেন্টাল ফ্লস
জেএমএস/জিকেএস