সিনেমাপ্রেমীদের গোলকধাঁধা রামোজি ফিল্ম সিটি
এবারের ট্যুরের শেষ দিন। বিকেলটা কাটবে ভারতের সবচেয়ে বড় ফিল্ম সিটিতে। ভারত বায়োটেকের জ্ঞানগর্ভ আলোচনা থেকে এবার পরিপূর্ণ বিনোদন। পাড়ি দিতে হবে একশ কিলোমিটার পথ। সুন্দর এক্সপ্রেসওয়ে ধরে পৌঁছাতে সময় লাগলো ঘণ্টাখানেকের একটু বেশি। কিন্তু রামোজি ফিল্ম সিটিতে পৌঁছানো মানেই পৌঁছানো নয়! এর সীমানা এত বড় যে গেট থেকে মূল ফিল্ম সিটিতে পৌঁছাতে পাড়ি দিতে হয় আরও ১০-১২ কিলোমিটার পথ।
হায়দরাবাদ দক্ষিণের চলচ্চিত্রের জন্য বিখ্যাত। যাদের চলচ্চিত্রের কাছে এখন ম্লান বলিউডও। ভারতের সবশেষ ব্যবসাসফল সব সিনেমার সঙ্গেই জড়িয়ে আছে দক্ষিণীরা। শাহরুখের ব্লকবাস্টার জওয়ানের পরিচালক এটলিও দক্ষিণী। ভারতের বর্তমান ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির নেতৃত্ব দেওয়া সেই দক্ষিণের বিখ্যাত রামোজি ফিল্ম সিটির ভিতরটা ঘুরে দেখার জন্য তর সইছিল না ৩২ সদস্যের টিমের।
রামোজি ফিল্ম সিটির বাইরের গেট
বলিউডের মুম্বাই ফিল্ম সিটিরও প্রায় চারগুণ বড় এ ফিল্ম সিটি ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠা করেন রামোজি রাও। অন্ধ্র প্রদেশের এ ব্যক্তি একাধারে ব্যবসায়ী, চলচ্চিত্র প্রযোজক, নির্মাতা এবং সংবাদপত্র ও ইটিভি নেটওয়ার্কের স্বত্বাধিকারী। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফিল্ম স্টুডিও কমপ্লেক্স হিসেবে গিনেস রেকর্ডও রয়েছে রামোজি ফিল্ম সিটির ঝুলিতে।
আরও পড়ুন>> ব্যস্ত শহরে আদি গ্রাম ‘ভিলেজ মিউজিয়াম’
হায়দরাবাদ শহর থেকে ৩০ কিলোমিটারের বেশি দূরে ১৬৬৬ একর জায়গা নিয়ে হলিউডের আদলে গড়ে ওঠে এ ফিল্ম সিটি। বর্তমানে যা বেড়ে দুই হাজার একর ছাড়িয়েছে। অঞ্চলটি পাথুরে পাহাড়ি। তবে গাছে ঢাকা। মূল গেট থেকে বাস পরিবর্তন করে শরীরে নীল স্টিকার লাগিয়ে অন্য একটি বাসে তুলে নিলেন সোমদত্তা মাইতি। বাঙালি এ মেয়েটিই আমাদের গাইড। আমরা বাংলাদেশ থেকে এসেছি শুনে বেশ উৎফুল্ল ছিল মেয়েটি। এই ফাঁকে ফরমাল পোশাক ছেড়ে গ্লামারার্স ক্যাজুয়াল পোশাক পরে নিলেন অনেকে। বাদ গেলেন না টিমের সিনিয়ররাও। বাস মূল স্টুডিও কমপ্লেক্সের উদ্দেশ্যে ছাড়তেই ষষ্ঠীর শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু হলো ব্রিফিং। যেতে যেতেই বেশ রসিয়ে বর্ণনা করতে করতে নিয়ে গেলেন আমাদের।
মূল গেট দিয়ে ঢুকতেই চোখ ছানাবড়া! রাস্তার দুপাশ ছবির মতো সাজানো। ডান পাশে বিশাল দুটো ভবন। পাঁচ তারকা মানের হোটেল। ৮-৯ হাজার রুপি থেকে ৬০ হাজার রুপি পর্যন্ত খরচ করে সেখানে থাকতে পারেন যে কেউ। সোমদত্তা এসব বর্ণনা দিতে দিতে সবাইকে নামতে বললেন বাস থেকে। আমরা পৌঁছে গেছি এক্সপেরিয়েন্সিং জোনে। সেখানে দর্শনার্থীদের জন্য রয়েছে বেশ কিছু অ্যাক্টিভিটিস। প্রথমে আমাদের নেওয়া হলো মুভি ম্যাজিক হলে।
মূল কম্পাউন্ডে ঢুকেই চোখে পড়ে এটি
মুভি ম্যাজিক
রামোজিতে এটা আমার দ্বিতীয়বার। প্রথমবার এ অভিজ্ঞতা নেওয়া হয়নি। ছাদখোলা ট্রেনের মতো একটি বাহনে তুলে শুরু হলো যাত্রা। কী নেই এখানে! প্রথমে মোগল ঐতিহ্যে সেলাম জানিয়ে স্বাগত জানালো একদল মানুষ। যেন এক আলো ঝলমলে নগর। নর্তকীরা স্বাগত জানালো নেচে। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই ব্রিটিশ রাজ্যে। আলো নিভে আলো জ্বলতেই চলে এলাম ফ্রান্স। চিত্রশিল্পীরা তখন আঁকছেন। চলচ্চিত্রকাররা ব্যস্ত মুভি বানাতে। পাশেই আইফেল টাওয়ার। চলছে সুরের সিম্ফনি।
এবার তুষারাবৃত বরফরাজ্য। সেখানেও তুষারপাতের মধ্যে চলছে সিনেমার শুটিং। পাশে বিশাল সব সাদা পাহাড়। এবার আমেরিকা, হলিউড। স্ট্যাচু অব লিবার্টি স্বাগত জানালো। নাচ, গান টুইন টাওয়ার কী নেই সেখানে! আমেরিকা থেকে বের হয়েই যেন পড়লাম সাইক্লোনের কবলে। বিশালদেহী সাইক্লোন সব যেন তছনছ করে দিয়ে চলে গেলো আমাদের। ঝড়ের পরে শান্তিও আসে। ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ, তাদের ঐতিহাসিক নৃত্য সে খোরাক মেটালো। এতকিছু আছে আমাজন জঙ্গল কেন বাদ যাবে! বাঘ, সিংহ, বানর, হর্নবিল, পাইথন স্বাগত জানালো বনে। শেষটায় তাজমহল, পিরামিডসহ সপ্তাশ্চর্য মন ভরালো। আর বাইরে দেওয়ালে দাঁড়িয়ে সব যেন দেখলো ফারাও খুফু!
মুভি ম্যাজিক
যেভাবে শুটিং হয়, বাস্তবে আমরা যা দেখি
এভাবে অসাধারণ এক কৃত্রিম জগৎ তৈরি করা হয়েছে দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য। পরের গন্তব্য থ্রিডি হল। সেখানে মহাকাশে যুদ্ধ, ওড়াউড়ি হলো কিছুক্ষণ। মনে হলো সত্যিই আমরা অন্য জগতে। এবার সত্যিকারে শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা নেওয়ার সুযোগ। এই শো-টি সত্যি দারুণ। কীভাবে শুটিং হয় আর বাস্তবে আমরা কী দেখি সেটা একটি ডেমো সেটে দেখানো হলো আমাদের।
এই পর্বটি ছিল বেশ ইন্টারেস্টিং। মঞ্চে ডাকা হলো তিনজন দর্শক। সুযোগটি নিলেন আমাদের তিন সহকর্মী দীপক দা, শাহেদ ভাই ও সঞ্জু। তাদের ব্রিফ করার জন্য নেওয়া হলো গ্রিনরুমে। তিনজন। বিশেষ পোশাক পরে চলে এলেন মঞ্চে। সেখানে রাখা তিনটি বাইকে চাপলেন। একজন সাধারণ মানুষ, যার ব্যাগে অনেক টাকা আছে। অন্য দুজন ছিনতাইকারী। মোটরসাইকেল স্টার্ট হলো। মঞ্চে স্থির। কাড়াকাড়ি ঠিকই চলছে। কিন্তু ওপরের বড় স্ক্রিনে আমরা দেখছি তিনজনই ব্যাপক গতিতে বাইকে ছুটছেন শহুরে সড়ক দিয়ে। পথে ঘটলো আরও কিছু ঘটনা।
যেভাবে শুটিং হয়
আরও পড়ুন>> প্রযুক্তিতে চীনকে টেক্কা দিতে চায় হায়দরাবাদের টি-ওয়ার্কস
এটা দেখানোর জন্য ডাকা হলো আরও তিনজনকে। তাদের একজন মারপিটের শব্দ করবেন, একজন গুলি চালাবেন ও আরেকজন বাতাসের শোঁ শোঁ আওয়াজ তুলবেন। তিনটি কাজই হলো ব্লেন্ডার মেশিন, পিতলের পাতে হাতুড়ির বাড়ি ও বক্সিং গ্লাভস পরে কিল-ঘুসিতে। স্ক্রিনে আমরা দেখলাম। সেই তিন বাইকারের একজন ঢিসাও করে গুলি করলো, বাইক ছুটে চললো শোঁ করে এবং পথে হলো মারপিট! সত্যি অসাধারণ অভিজ্ঞতা নিলো সবাই।
রামোজি রাজ্য
প্রতিটি অ্যাক্টিভিটিস শেষে আবার রয়েছে ছোট সুভেনিয়ার শপ। কেউ কেউ কেনাকাটাও করলেন টুকটাক। সময় কম। তাই সোমদত্তা তাড়া দিলেন বের হওয়ার। এবার আমরা যাবো মূল শুটিং কমপ্লেক্সের সিটিতে। ঐশ্বরিয়া রায়, অজয় দেবগন আর সালমান খানের বিখ্যাত রোমান্টিক সিনেমা ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ যারা দেখেছেন তাদের নিশ্চয় ঐশ্বরিয়ার বাবার বিশাল প্রাসাদটা মনে রেখেছেন। সেই প্রাসাদ কিন্তু রামোজির। সত্যিকারের বিশাল প্রাসাদের পাশ দিয়ে শুরু হলো যাত্রা।
হাম দিল দে চুকে সনম সিনেমার সেই রাজপ্রাসাদ
এ যেন মহাদেশের মধ্যে আরেক মহাদেশ, দেশের মধ্যে আরেক দেশ, শহরের মধ্যে আরেক শহর! গ্রিস-রোমান স্টাইল ফাউন্টেনের বাঁ পাশে বিশাল মাঠ, বাগান। তার মধ্যে শুয়ে আছে বিশাল এক মানুষ। নগ্ন পা দুটো দেখা যাচ্ছে সামনে থেকে। বাপ্পি লাহিড়ী ও শ্রেয়া ঘোষালের কণ্ঠে ডার্টি পিকচার সিনেমার ব্যাপক জনপ্রিয় উ লা লা লা উ লা লা গানটির শুটিং সেট ছিল এটি। প্রায় দেড় হাজার সিনেমার শুটিং হয়েছে এ ফিল্ম সিটিতে। তালিকায় রয়েছে বাংলা, হিন্দি, মালায়লাম, তেলেগু, তামিল, বাংলা এমনকি হলিউডের সিনেমাও। সোমদত্তা জানান, এখানে দুই ধরনের শুটিং হাউজ রয়েছে। একটি সিরিয়াল করার জন্য অন্যটি সিনেমার। যার যেটি প্রয়োজন সেটি ভাড়া নেন।
যেতে যেতে এবার পড়লো এয়ারপোর্ট। কিন্তু সামনে প্লেন নয়, দাঁড়ানো গাড়ি! সিনেমায় কিন্তু আমরা প্লেনই দেখি। কয়েকটি মাল্টি ডাইমেনশন বাড়িও দেখালেন সোমদত্তা। যেগুলোর একটিকে দেখানো যায় চারটি বাড়ি হিসেবে। মানে সামনে থেকে দেখলে নায়কের বাড়ি, পেছন থেকে নায়িকার বাড়ি, পাশ থেকে ভিলেনের বাড়ি। সবই চোখের ধাঁধা!
রামোজির বিলেত
রয়েছে সেন্ট্রাল জেল, রেলস্টেশন। সোমদত্তা বললেন, এই জেলে যে নারী ঢোকেন তিনি বের হতে চান না, কেন? উত্তর এলো এটার ভিতরেই মেকআপ রুম! চেন্নাই এক্সপ্রেস সিনেমার রেলস্টেশনের কথা নিশ্চয় আমাদের মনে আছে। সেটাও কিন্তু এখানে!
আরও পড়ুন>> পূর্ণ স্কলারশিপে আইআইটি হায়দ্রবাদে দুই বাংলাদেশি তরুণ
বাহুবলী সিনেমার সেট
পরের আকর্ষণ ছিল বিলেতযাত্রা। ইংল্যান্ড, আমেরিকার আদলে বিশাল এক পাড়া এটি। সাদা চোখে দেখে বোঝার কোনো উপায় নেই। আমরা সিনেমায় যে দেখি নায়ক-নায়িকারা মুহূর্তের মধ্যে বিদেশ চলে যাচ্ছেন, ফিরে আসছেন সেটা অনেক সময় সম্ভব হয় এই বিদেশ কয়েক কিলোমিটার দূরে হওয়ায়! এখানে যেসব বড় বাড়ি দেখতে পাওয়া যায় তার অন্তত ৩০-৪০ শতাংশ ফেক বিল্ডিং। অর্থাৎ দেখতে সত্যিকারের হলেও এগুলোতে থাকার সুযোগ নেই কিংবা ব্যবহারের অনুপযোগী।
বাহুবলীর সেটে এখনো বাজিমাত
রামোজি ফিল্ম সিটির সবচেয়ে বড় আকর্ষণও এখন কোনটা? অধিকাংশ দর্শনার্থীরই উত্তর বাহুবলী সিনেমার সেট। বক্স অফিস কাঁপানো এই সিনেমার শুটিং হয়েছিল রামোজিতে। দর্শনার্থীদের প্রবল আকর্ষণের জন্য এখনো অবিকল রাখা হয়েছে সেই সেটটি। বরং নতুন রং-চং করে রেনোভেট করা হয়েছে। প্রথম দেখার পাঁচ বছর পর গিয়ে সেটা বোঝা গেলো বেশ। পথেই বিশাল আরেকটি সেট দেখালেন সোমদত্তা। এটি বলিউড পরিচালক রোহিত শেঠির সিংঘম এগেন সিনেমার সেট। অজয় দেবগনের ব্যবসাসফল সিংঘম, সিংঘম রিটার্নের পর এটি তৃতীয় পার্ট।
বাহুবলী সিনেমার সেট
দুপাশে বিশাল দুটি ঢোল। সামনে ৫০-৬০ ফুট উঁচু গেট। দুর্গের দেওয়ালও লাল বেলেপাথরের। গেট দিয়ে ঢুকলেই বিশাল মহিষ্মতী রাজ্য। যে রাজ্যে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন বাহুবলী, কাটাপ্পা, রানি দেবসেনা, রাজা বল্লাল দেবরা। বাস্তবের প্রভাস, সত্যরাজ, অনুষ্কা শেঠিরা। এখন পর্যন্ত ভারতের সবচেয়ে ব্যবসাসফল নির্মাতা রাজমৌলীর বাহুবলী ২০১৫ সালে মুক্তির পর হৈচৈ ফেলে দেয়। শুধু ভারত নয়, জায়গা করে নেয় গোটা বিশ্বে। যারা সিনেমাটি দেখেছেন সবারই কাহিনি জানা। তাই সেটে ঢুকলে অন্য রকম অনুভূতি হওয়া স্বাভাবিক।
বাহুবলী ও কাটাপ্পা এই সিনেমার সবচেয়ে জনপ্রিয় চরিত্র। এই চরিত্রগুলো নিয়ে যে কত শত মিম তৈরি হয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। মুক্তির আট বছর পরও আবেদন কমেনি এর চরিত্র কিংবা সিনেমাটির।
বাহুবলী সিনেমার সেট
সোনার মূর্তি, হাতি, প্রাসাদের সামনে পা উঁচিয়ে ছুটে বেড়ানোর আদলে নির্মিত ঘোড়া, কালো ষাঁড়, কারাগার সবই আছে অবিকল। দর্শনার্থীরা সবাই যে যার মতো চরিত্র কল্পনা করে ডায়ালগ সাজিয়ে ছবি ভিডিও করেন, ভ্লগ বানান, আশ মিটিয়ে ছবি তোলেন এখানে এসে। বাহুবলীর টানা বিশাল রথচক্রটিও রাখা হয়েছে এখনো। সোলা দিয়ে তৈরি হলেও এর ভার কম নয়।
টাক মাথার কাটাপ্পা চরিত্রে সত্যরাজ ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান। সিনেমার সবচেয়ে জনপ্রিয় ডায়ালগও বলা চলে তাকে নিয়ে, ‘কাটাপ্পা তু বাহুবলী কা কিউ মারা?’। শুধু জড় পদার্থ হিসেবে সেটটি এখানে রাখা হয়েছে তা কিন্তু নয়। ঢুকলেই শুনতে পাবেন গম গম মিউজিক। থিম সং অমরেন্দ্র বাহুবলী.. অমরেন্দ্র বাহুবলী…। হঠাৎ বুঝে পাবেন না সিনেমার মধ্যেই ঢুকে পড়লেন কি না! এটাই পুরোটা সময় জমিয়ে রাখবে আপনাকে।
বাহুবলী সিনেমার সেট
এ সত্যি এক গোলকধাঁধা। কী নেই চলচ্চিত্রের এ সাম্রাজ্যে। বানিয়ে রাখা হয়েছে তাজমহল, আইফেল টাওয়ার, বাঙালি বাড়ি, ওয়েস্টার্ন বাড়ি, গ্রিন বাগান, গ্রিক প্যাটার্নের মূর্তি। বলা যায় যা আছে ভারতে, যা আছে বিশ্বে সবই আছে রামোজি ফিল্ম সিটিতে।
দুই ধরনের প্যাকেজ নিয়ে সারাদিনের জন্য যেতে পারেন যে কেউ। নন-এসি খোলা লাল বাসে ট্যুরসহ ১৬০০ রুপি ও খাবারসহ এসি বাসে ৩৩শ রুপি জনপ্রতি। ভিতরে রয়েছে বেশ কয়েকটি রেস্টুরেন্ট। এসব রেস্টুরেন্টও সাজানো ফিল্মি স্টাইলে। উত্তম-সুচিত্রা, শাহরুখ-ঐশ্বরিয়া থেকে শুরু করে সবার ছবি, শুটিং ক্যামেরা সবই আছে ভিতরে। মনে হবে শাহরুখ-ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে লাঞ্চ কিংবা ডিনারে বসেছেন!
এএসএ/জিকেএস