শখ থেকে মাছুমের মাসে আয় ৫০ হাজার টাকা

সাজেদুর আবেদীন শান্ত
সাজেদুর আবেদীন শান্ত সাজেদুর আবেদীন শান্ত , ফিচার লেখক
প্রকাশিত: ০২:১৪ পিএম, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বয়স ২২ বছর। গাছপালার প্রতি শখ ছোটবেলা থেকেই। সেই শখকে এখন করেছেন আয়ের উৎস। গড়ে তুলেছেন নার্সারি। আর নার্সারি থেকে মাসে আয় করেন ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। এই টাকা দিয়ে নিজে পড়াশোনা করেন, ছোটবোনকে পড়ান। এমনকি পরিবারেও অর্থনৈতিক অবদান রাখেন। বলছি মাফিজুল হাসান মাছুমের কথা। তিনি বগুড়ার সোনাতলার উত্তর আটকড়িয়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে। পড়াশোনা করছেন সোনাতলা সরকারি নাজির আখতার কলেজে। তিনি ইসলামের ইতিহাস বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।

jagonews24

শুরুর গল্প
গাছের প্রতি ভালোবাসা তার ছোটবেলা থেকেই। নার্সারি করার পরিকল্পনা জাগে করোনার সময়ে। তখন তিনি উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী। বাবার পতিত জমিতে ছোট পরিসরে গড়েন নার্সারি। সেটি ছিল উত্তর আটকড়িয়া গ্রামে। মূলত সেখান থেকে কিছুটা বিক্রি হলেও মনে ছিল নার্সারি বড় করার সাধ। সেই সাধ থেকে তিনি আসেন সোনাতলা উপজেলার প্রাণকেন্দ্র বঙ্গবন্ধু চত্বরের সামনে। সেখানে মাসিক চুক্তিতে ফাঁকা জায়গা ভাড়া নেন। সেখানেই স্বপ্ন বিকশিত হতে শুরু করে। গড়েন বড় পরিসরে নার্সারি। তার নাম দেন ‘গ্রিন লিভস’।

jagonews24

আরও পড়ুন: মৃৎশিল্প: বাংলার ঐতিহ্যবাহী শিল্পকর্ম 

এগিয়ে চলা
তার গ্রিন লিভস নার্সারিতে উৎপাদিত গাছ ছাড়াও নিয়ে আসেন বিভিন্ন প্রজাতির বিদেশি ফুল, ফলসহ সৌন্দর্যবর্ধক গাছ। বর্তমানে তার নার্সারিতে প্রায় ২৫০ প্রজাতির বেশি গাছ আছে। এরমধ্যে আছে ক্যাকটাস, সাকুলেন্ট, বনসাইসহ নানা ইনডোর আউটডোর প্ল্যান্ট। গাছের পাশাপাশি তার গ্রিন লিভসে বিভিন্ন প্রজাতির অ্যাকুরিয়ামে চাষযোগ্য সৌখিন বিদেশি মাছ তুলেছেন। সেই সঙ্গে নানা রকম পাখি, পোষাপ্রাণিও রেখেছেন। এককথায় মানুষের শখের সব জিনিস তিনি এক ছাদের নিচে রাখার চেষ্টা করেছেন।

jagonews24

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে মাছুম বলেন, ‘আমার ইচ্ছা পড়ালেখা শেষ করে গার্ডেনটাই ভালোভাবে করা। আমার চাকরি করার ইচ্ছা নেই। উদ্যোক্তা হতে চাই। তাই ভবিষ্যতে আমার এই গ্রিন লিভসে আরও বেশি বিনিয়োগ করবো। সেই সঙ্গে চেষ্টা করবো আমার এখানে দু’একজনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার।’

আরও পড়ুন: জৌলুস হারাচ্ছে নৌকা বাইচ 

জনপ্রতিনিধির বক্তব্য
মাছুমের নার্সারি সম্পর্কে সোনাতলা পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিপুন আনোয়ার কাজল বলেন, ‘মাছুম খুবই শৈল্পিক ছেলে। কয়েকদিন আগেও জায়গাটা নোংরা ছিল। সে জায়গাটা ভাড়া নিয়ে অনেক সুন্দর করে সাজিয়েছে। সেখান থেকে তার একটা আয়ের উৎসও হয়েছে। জায়গায়টি সোনাতলার বঙ্গবন্ধু চত্বরের সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।’

এসইউ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।